এখন দিল্লিতে লকডাউন তুলে নেওয়া যেতে পারে। দেশজুড়ে লকডাউনের তৃতীয় দফা শুরু হওয়ার আগেই একথা বললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সঙ্গেই বাঁচতে হবে আমাদের।’ ধাপে ধাপে লকডাউনের তুলে নেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কনটেনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে বাকি এলাকাগুলিতে লকডাউন শিথিল করা যেতে পারে বলে মনে করছেন কেজরি। তিনি বলেন, ‘করোনার মোকাবিলা করতে তৈরি দিল্লির স্বাস্থ্য পরিষেবা। হাসপাতালগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণে কিক রয়েছে। কেন্দ্র সরকারকে আমাদের পরামর্শ, কনটেনমেন্ট জোনগুলিকে যেন সিল করা রাখা হয়। গ্রিন জোনগুলিকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। দোকানপাট খোলা যেতে পারে এখন। লকডাউন তুলে নেওয়ার পরও যদি করোনা সংক্রমণের হদিশ মেলে, তাহলেও সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা দিল্লির রয়েছে।’ করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নয়া বিধি চালু করে আজ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, কোনও বিয়েবাড়িতে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। অন্যদিকে, শেষকৃত্যের সময়ও ২০ জনের বেশি থাকা যাবে না। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ৩৩% কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারে। আইটি, কল সেন্টার, গুদামঘরের কাজকর্ম শুরু করা যেতে পারে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ছাড়াও স্টেশনারি দোকানও খোলা যেতে পারে। টেকনিশিয়ান, প্লাম্বার, ইলেট্রিশিয়ানরাও আবার কাজ শুরু করে দিতে পারেন। পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হলেও ব্যক্তিগত চার-চাকা বা দু’চাকা গাড়ির ব্যবহার করা যেতে পারে। সবমিলিয়ে গ্রিন জোনগুলিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ মেনেই কাজ করা হবে বলেন জানাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।