কলকাতাঃ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক মশলা, রাসায়নিক ও রং ব্যবহার করে খাবার তৈরির অভিযোগেই শহরের ৪০টি নামী-দামি রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে মামলার নোটিস পাঠালো পুরসভা। রাস্তার অস্থায়ী ছোট-বড় দোকান থেকে নামী রেস্তোরাঁ সর্বত্র অভিযান চালায় পুরসভার স্বাস্হ্য দপ্তর। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এমনকী রান্নায় ব্যবহৃত মশলা, কাঁচামালের গুণগতমানও পরীক্ষা করে দেখার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ৪০টি রেস্তোরাঁর খাবারে ক্ষতিকর রাসায়নিক মিলেছে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। আরসালান, রয়্যাল-এর মতো বেশ কয়েকটি নামী রেস্তোরাঁর নামও রয়েছে সেই তালিকায়। যাদের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছে সেই সব রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের শুধু জরিমানা নয়, জেলও হতে পারে।পুর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, পুরসভা থেকে একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এফএসএসএআই-এর গাইডলাইন মেনে লিফলেট, বইও বিলি করা হয়েছে পুরসভা থেকে। এর পরও ক্ষতিকর রাসায়নিক রং ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযানে গিয়ে খাবারের নমুনায় মিলেছে ক্ষতিকর রাসায়নিক। এর পরই কড়া পদক্ষেপ করে পুর-প্রশাসন।ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি এবং বিক্রির আটকাতে কলকাতা পুরসভা লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে।দুর্গা পুজোর সময় সাধারণ নাগরিককে কি ধরনের খাদ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার গুণগত মান পরীক্ষায় ময়দানে নেমেছিল পুরসভার স্বাস্হ্য বিভাগ। কয়েকদিন ২৪৫ টি দোকানে হানা দেয় আধিকারিকরা। পাশাপাশি ৬ টি দোকানের ফুড লাইন্সেন্স না থাকায় ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার তরফে দোকান মালিককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজো, ভাইফোঁটার আগে মিষ্টি ও খাবারের দোকানে নজরদারি চালাবেন পুর-স্বাস্থ্য দফতরের অফিসাররা। ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে শহরের অনেক হোটেলেই খাবারের বিশেষ আয়োজন থাকে। সেই সব জায়গাতেও অভিযান চালানোর পরিকল্পনা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের।