হক জাফর ইমাম, মালদা: দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনিয়মিত ভাবে বিদ্যালয়ে আসায় পঠনপাঠনের মান পড়ে গিয়েছে।এই অভিযোগে শুক্রবার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা স্কুলে এসে শিক্ষক শিক্ষিকাদের দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখলেন।। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির গাংনদীয়া ও আলিনগর এলাকার দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গাংনদীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে বিপ্লব চক্রবর্তী প্রধান শিক্ষক সহ তিনজন আংশিক শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তিন জন স্থায়ী শিক্ষক আছেন।যাদের মধ্যে এক জন শিক্ষিকা ও ছয় জন শিক্ষক।পড়ুয়া সংখ্যা ২১৫ জন।
অপর দিকে আলিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গৌতম আচার্য প্রধান শিক্ষক সহ আংশিক শিক্ষক দুই জন ও স্থায়ী শিক্ষক দুইজন সহ মোট পাঁচ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।পড়ুয়া সংখ্যা ২৫০জন।দুই স্কুলেই গড়পড়তা ১০ থেকে ২০ জন করে পড়ুয়া উপস্থিত হয়।এদিন স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, গাংনদীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ২০-২৫ জন পড়ুয়া ও আলিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ৪ জন পড়ুয়া উপস্থিত ছিল।বারোটা পর্যন্ত দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে আসতে দেখা যায়নি ।জানা যায়, আলিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক বিপ্লব চক্রবর্তী এক মাস ধরে ছুটিতে রয়েছে।ওই দুই স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিপ্লব চক্রবর্তী ও গৌতম আচার্য হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা হলেও নিয়মিত স্কুলে আসেন না।অনেক শিক্ষকই অন্য জেলা থেকে এসেছে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের
শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রতিদিন স্কুলে বেশ কয়েক মাস ধরেই অনিয়মিত ভাবে বিদ্যালয়ে আসেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাড়ি চলে যান বলে অভিযোগ। শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রতিদিন অনিয়মিত ভাবে স্কুলে যাতায়াতের কারণে পঠনপাঠনের অবস্থা একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে।কমে গিয়েছে পড়ুয়াদের সংখ্য। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের অভিযোগ মিড-ডে-মিলের খাবারের অবস্থাও খুবই নিম্নমানের।সরকারি নিয়ম মেনে মিড-ডে-মিল খাওয়ানো হয় না।স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কম আসলে সেদিন মিড ডে মিলের রান্না হয় না। আমরা চাই অতি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয় না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।