ইসলামাবাদ: পরাধীন হয়ে আর থাকতে চাইছে না বালোচিস্তান। পাকিস্তানের থেকে স্বাধীনতা পেতে ভারতের কাছে সাহায্য চাইলেন বালোচ নেতা হিরবায়ার মারি।পাকিস্তান থেকে বালোচিস্তানের বিচ্ছিন হওয়ার দাবি নতুন নয়। দেশভাগের সময় থেকেই যা নিয়ে বিতর্ক ছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামী খান আব্দুল গফফর খান তথা সীমান্ত গান্ধীও বালোচিস্তানের বাসিন্দা ছিলেন। তিনিও পাকিস্তানের বিরোধী ছিলেন।বালোচদের পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন গুরুত্ব পায় ২০১৬ সালের ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে। ওই দিন দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময়ে বালোচিস্তানের স্বাধীনতার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই স্বাধীনতালাভের উদ্দেশ্যে ভারতের সাহায্য চেয়েছেন বালচ নেতা হিরবায়ার মারি। তাঁর কথায়, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় বালোচিস্তান নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন। এখন আমাদের সাহায্য করার সুযোগ এসেছে। বালোচিস্তানকে ভারত বন্ধু হিসেবে পেতে পারে। আপাতত নানা দেশে আমরা ভারত-বালোচ মৈত্রী মঞ্চ গড়ে তুলছি।”অসমের সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছেন হিরবায়ার মারি। তিনি বলেছেন, “অবৈধ পাক দখলদারি থেকে বালুচিস্তানকে স্বাধীন করতে সাত দশক ধরে লড়াই চলছে। এখন ভারতের দিক থেকে সক্রিয় সহযোগিতার সময় এসেছে।” একই সঙ্গে পাকিস্তানের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, “১৯৪৮ সালে কালাত প্রদেশের সঙ্গে চুক্তি করে স্বাধীন বালুচিস্তানকে দখল করে নেয় পাকিস্তান। কিন্তু গোটা বালুচিস্তান কখনওই পাক শাসনে আসতে চায়নি। এত দিনেও সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যের কোনও উন্নতিই হয়নি। উল্টে সেখানকার গ্যাস, কয়লা, সোনা, তামা-সহ সব খনিজ লুট করছে পাকিস্তান।”দেশভাগের সময় থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ শীতল। যা নিয়ে একাধিকবার যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। সীমান্ত সমস্যা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এরই মাঝে গত দুই মাস আগে কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নিয়েছে ভারত। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পাকিস্তান। এই নিয়েই গুয়হাটির সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলেছেন বালোচ নেতা হিরবায়ার মারি। কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান দ্বিচারিত করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি নিরীহ মুসলিমের হত্যার জন্য দায়ী। গত এক দশকে বিশ হাজারের বেশি বালোচ নিখোঁজ হয়েছেন। পাক সেনারা নারী ও শিশুদেরও ছাড়েনি।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তানের উপরে ভারতেরই অধিকার রয়েছে।”