কলকাতাঃ বউবাজারের বন্ধ সোনাপট্টি এবার যাচ্ছে পোদ্দার কোর্টে। মেট্রোর ধ্বংসস্তূপ থেকে ক্রমে মাথা তুলে ওঠার চেষ্টা করছে সোনার মার্কেট। ভাঙা বাড়ির নিচে থাকা সোনার গয়না তৈরির ছোট ছোট কারখানাকে আপাতত তাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিছুটা দূরের পোদ্দার কোর্টে। ১০ নম্বর লুসাম সরণিতেই আপাতত সেগুলিকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। যাতে সেখানেই গয়না তৈরির কাজ চালিয়ে যেতে পারেন কারিগররা। জানা গিয়েছে, কেএমআরসিএলেরই একটি বিল্ডিং রয়েছে। সেখানেই হবে কাজ। প্রায় ৬৫ টি দোকান বা কাজ করার মতো ছোট কারখানার জায়গা রয়েছে সেখানে।বউবাজার বিপর্যয়ের দিন পনেরো পেরিয়েছে। কিন্তু ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে ছিল সোনার গয়না তৈরির কারখানা। ফলে বিভিন্ন দোকানের অর্ডারি গয়না দিতে পারছিলেন না এখানকার কর্মীরা। সমস্যা দিনের পর দিন বাড়ছিল। তা এড়াতেই তড়িঘড়ি পোদ্দারকোর্টে এই জায়গা খোঁজা হল। কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৪৪জন ব্যবসায়ী বা কারখানার মালিক এই দোকানের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁরা কাউন্সিলরের থেকে নিজেদের দোকান সম্পর্কিত যাবতীয় বিবরণ দিয়ে চিঠিতে এই আবেদন করেছেন। তবে এখনও আরও জনা কুড়ি বাকি আছে বলেই সূত্রের খবর। নতুন এই জায়গায় এই কারিগরদের পুনর্বাসন হলে একটা সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন মেট্রো কর্তারা।বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যেও প্রকৃত দাবিদার বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার ছিল বৈঠক। বাসিন্দাদের থেকে মুচলেকা নেওয়ার মতো ব্যবসায়ী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে। করানো হচ্ছে ফর্ম ফিলাপ। তাতে বাড়ির মালিকের সম্মতি ছাড়াও লাগবে নিয়মমাফিক পুরসভা ও পুলিশের ছাড়পত্র। অন্যদিকে, নতুন বিল্ডিং প্ল্যান পাঠানো হয়েছে কলকাতা পুরসভায়। আপতত কুড়িটি নতুন বাড়ি বানানো হবে।এদিকে এদিনও সকাল থেকেই বাড়ি ভাঙার কাজ চলেছে দুর্গা পিতুরি লেনে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুরসভা এবং কেএমআরসিএলের কর্তারা। বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিতকরণের কাজও চলেছে। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গে আপাতত কোনও বিপদ নেই। তাই আপাতত বউবাজারের ওই তিন গলির বাসিন্দাদের থাকার বিষয়টি মেটাতে চাইছে। বাসিন্দাদের স্থানীয় এলাকাতে বাড়ি ভাড়াও খুঁজতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। পাশাপাশি সংস্থার তরফেও খোঁজা শুরু হয়েছে বলে জানান কর্তারা। একাধিক বাড়িতে আটকে থাকা কিছু মাল এদিনও বের করেন কয়েকজন বাসিন্দা।