কাশ্মীরের ঢুতে দেওয়া হয়নি সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। তাই বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়লেন তিনি। তারপর পেলেন অনুমতি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে আগে কেন আটকানো হল? কাশ্মীরের বাস্তব ছবিটা প্রকাশ্যে এসে যাবে বলে? সরকার এবং কাশ্মীর প্রশাসন নানা অজুহাত দিয়েছিল। বুধবার যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খারিজ হয়ে গেল বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা। এদিন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে দলের প্রাক্তন বিধায়ক ইউসুফ তারিগামির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর সু্প্রিম কোর্টের একইসঙ্গে পর্যবেক্ষণ, যে কোনও ভারতীয়র কাশ্মীরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। গত সপ্তাহে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিরোধীদের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, সেরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। তবে প্রতিনিধিদলকে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠিয়ে দেয় জম্মু–কাশ্মীর প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এই অজুহাতে ফেরত পাঠানো হয় তাদের। এরপরই সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি বেপাত্তা বলে অভিযোগ তোলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তারিগামির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এদিন সেই মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, কাশ্মীরে যেতে পারবেন সীতারাম ইয়েচুরি। দেখা করতে পারবেন ইউসুফ তারিগামির সঙ্গেও। তবে সেখানে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তেমন কিছু হলে তা আদালত অবমাননা বলে গ্রাহ্য হবে। তারিগামির সঙ্গে দেখা করার পর তিনি কেমন আছেন তা আদালতকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। তবে ইয়েচুরির আবেদনের বিরোধিতা করে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, ‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেখানে শুধু আত্মীয়দেরই যেতে দেওয়া উচিত।’ কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জবাবে বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ‘ভারতীয় নাগরিকের ইচ্ছামতো দেশের যে কোনও অংশে যাওয়ার অধিকার রয়েছে।’