মেডিক্যাল কলেজে আগুন লেগে চার রোগীর মৃত্যু ৷ শুক্রবার রাতে ক্যাজুয়ালিটি ব্লকে ইউপিএস রুম থেকে বিস্ফোরণের মতো শব্দ শোনা যায় ৷ এরপরই ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা ৷ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেই ধোঁয়ায় কমপক্ষে চার জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও পরে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার সজিথ কুমার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ধোঁয়ার কারণে নয় বরং রোগীদের অবস্থা গুরুতর হওয়ার জেরেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।অধ্যক্ষের মতে, যে চারজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তারা সকলেই আগুন লাগার আগে থেকেই গুরুতর অবস্থায় ভর্তি ছিলেন। এদের মধ্যে, শুক্রবার দুপুরেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন দু’জন। তাদের মধ্যে একজন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন এবং অন্যজনের লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। চতুর্থ রোগীরও এমনই গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসা চলছিল।তবে, অভিযোগ উঠেছে, ঘন ধোঁয়ার কারণে ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীদের হঠাৎ স্থানান্তর করতে হয়েছিল ৷ এর জেরেই তাদের মৃত্যু হতে পারে। আগে দাবি করা হয়েছিল, ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টের জেরে রোগীদের মৃত্যু হয়েছে। নিহত চারজন হলেন- ওয়েস্ট হিলের বাসিন্দা গোপালন, ভাদাকারার বাসিন্দা সুরেন্দ্রন, মেপ্পায়ুরের বাসিন্দা গঙ্গাধরন এবং ওয়ানাডের বাসিন্দা নাজিরা। যথাযথ তদন্ত না করেই বিবৃতি দেওয়ার জন্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক টি সিদ্দিক। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিধায়ক জানিয়েছেন, তিনজন রোগীরই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃত রোগীদের মধ্যে একজন ওয়ানাডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে যে তিনি বিষ খেয়েছিলেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তবে তার পরিবারের দাবি, ধোঁয়ার কারণে ভেন্টিলেটর সেটআপ থেকে জরুরি স্থানান্তরের সময় তার মৃত্যু হয়েছে।
