জেলা

কুলটির নিষিদ্ধপল্লিতে ৫ নাবালিকার খোঁজে গিয়ে উদ্ধার ৪৫

অভিযোগ, কুলটির নিষিদ্ধপল্লী জোর করে দেহব্যবসায় নামানো হয়েছে তাদের। ৫ নাবালিকার খোঁজে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৪৫ নাবালিকাকে। উদ্ধার হওয়া নাবালিকাদের হোমে পাঠানো হবে। বেশ কয়েকজন যুবককেও আটক করা হয়। আচমকা অভিযান চালিয়ে ৪৫জন নাবালিকাকে উদ্ধার করল রাজ্য শিশু ও মহিলা কমিশন।  বুধবার রাত দশটা নাগাদ কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল উপস্থিত হয় কুলটির লছিপুর নিষিদ্ধপল্লিতে। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক বিভু গোয়েল,  আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর কমিশনার অজয় ঠাকুর সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আচমকা এই হানায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। ঘরে ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে নিষিদ্ধপল্লিতে এসে পড়া নাবালিকাদের উদ্ধার করে তারা। কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী জানান, গোপন সূত্রে তাঁরা খবর পান যে, এখানে পাঁচ থেকে ছয়জন নাবালিকাকে দেহব্যাবসায় নামানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী তাঁরা এখানে তল্লাশি অভিযান চালান। কিন্তু পাওয়া যায় ৪৫ জনকে। এরা কোথাকার বাসিন্দা তা এখনো জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। তদন্তকারীদের কাছে খবর ছিল, এই এলাকায় ৫-৬ জন নাবালিকাকে জোর করে দেহব্যবসায় নামানো হয়। সেই মতো গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে বড়রকমের অভিযান চালানো হয়। বিরাট পুলিশ বাহিনীকে নামানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে প্রায় ৪৫ নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের প্রত্যেককে হোমে পাঠানো হবে বলে খবর।