আনন্দ অনুষ্ঠান বদলে গেল এক লহমায় ৷ উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে 75 বছর বয়সি এক ব্যক্তি গত 29 সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন ৷ সেদিন রাতে সদ্য বিবাহিতা 35 বছরের স্ত্রীর সঙ্গে ঘরে শুতে যান ৷ দরজায় খিল দেওয়ার পর সত্তোরোর্ধ বৃদ্ধ যৌন উত্তেজক সেবন করেন ৷ তারপরই মাথার শিরা ছিঁড়ে মৃত্যু হয় বরের ৷ বৃদ্ধের মৃত্যুর খবরে এলাকায় নামে শোকের ছায়া ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জৌনপুরের কুচমুচ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন সাংরু রাম (75 বছর) ৷ গত 29 সেপ্টেম্বর এলাকারই এক মন্দিরে গিয়ে 35 বছরের মানভাবতীকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের রাতেই ঘটে যায় অঘটন ৷ পরদিন সকালে জানাজানি হয় সাংরু রামের মৃত্যু হয়েছে ৷ পরিবারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৃদ্ধের শেষকৃত্য করা হবে ৷ কিন্তু, তাঁর ভাগ্নে মামার শেষকৃত্য করতে বাধা দেন। পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় ৷ পরবর্তীতে জৌনপুর পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবারের হাতে তুলে দেয় ৷ এরপরই সদ্য বিবাহিত সাংরুর মৃত্যুর কারণ সামনে আসে ৷ জানা যায়, সদ্য বিবাহিত সাংরু রাম বিয়ের রাতে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করেন ৷ এর কারণে তাঁর মাথার শিরা ছিঁড়ে যায় ও মারা যান বলে অনুমান করা হচ্ছে ৷ মৃত্যুর তদন্তে থাকা কর্মকর্তা অজিত কুমার রজক জানান, গত 1 অক্টোবর, গৌরাবাদশাহপুর থানার কাছে খবর পৌঁছয় কুচমুচ গ্রামের বাসিন্দা সাংরু রাম তাঁর বিয়ের পরদিন সকালে আচমকা মারা গিয়েছেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, সাংরুর প্রথম স্ত্রী এক বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাই গত 29 সেপ্টেম্বর মানভাবতীকে বিয়ে করেছিলেন ওই বৃদ্ধ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ ৷ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷


