অর্থের জন্য কারও উচ্চশিক্ষা আর বাধাপ্রাপ্ত হবে না। খুব কম সুদে ঋণ দেওয়া হবে এই কার্ডে। রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিলে কথা রাখেন। বার বার সেই নজীর গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, “সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে।এই কার্ডের জন্য গ্যারেন্টার লাগবে না। এক্ষেত্রে গ্যারেন্টার শুধুমাত্র সরকার । অর্থের জন্য কারও উচ্চশিক্ষা আর বাধাপ্রাপ্ত হবে না। খুব কম সুদে ঋণ দেওয়া হবে এই কার্ডে।” এদিন কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যের ২৫ হাজার পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রদানের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ৫ হাজার পড়ুয়ার হাতে এই ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়া হয়। বাকি ২০ হাজার পড়ুয়ার হাতে জেলাগুলিতে এই কার্ড তুলে দেবে জেলা প্রশাসন। আর এই ২৫ হাজার পড়ুয়া যাতে ঋণ পায় তার জন্য রাজ্য সরকার ১৫৪২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে বলে এদিন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এটাও জানালেন এই টাকা রাজ্য
সমবায় ব্যাঙ্ক মারফত পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। কার্যত রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ যে দেশের বৃহত্তম পড়ুয়া ঋণ প্রদানের কর্মসূচী সে কথা হলফ করেই বলা যায়। কেননা দেশের কোনও রাজ্যই এই বড় আকারে আর্থিক সুবিধা পড়ুয়াদের প্রদান করে না। বৃহস্পতিবার নাম না করেই তিনি কার্যত আরও একবার সেই বার্তা দিলেন বলে এখন অনেক্কেই মনে করছেন। এদিন কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে তিনি পড়ুয়াদের ঋণ দান করার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে আরও এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন। আর তখনই তিনি সরাসরি মানুষের হাতে আরও বেশি করে টাকা তুলে দেওয়ার কথা বলেন। মনে করা হচ্ছে তিনি শুধু ব্যাঙ্কগুলিকে নয়, পরোক্ষে মোদি সরকারকেও বার্তা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সরকার আগেই জানিয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণের জন্যেও ছাত্রছাত্রীদের ঋণ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানান, এগিয়ে বাংলা, উচ্চ শিক্ষা দফতরের পোর্টালে আবেদন করা যাবে। ১৮০০১০২৮০১৪ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করা যাবে। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা যাতে কোনওভাবেই হেনস্থার শিকার না হন তা দেখার জন্য সরকারি ব্যাঙ্ক সহ উচ্চ শিক্ষা দফতর এই বিষয়ে সতর্ক হতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।