জামা হবে সাদা রং, প্যান্ট হবে নীল রঙের। মেয়েদের ক্ষেত্রে শার্ট হবে সাদা রঙের, স্কার্ট বা প্যান্ট হবে নীল রঙের। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে সর্বশিক্ষা মিশন। শর্ট বা স্কার্টের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে বিশ্ব বাংলা লোগো। সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল বা সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য হতে চলেছে একই রঙের পোশাক। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে সেই সব পোশাক স্কুলে পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলেরা একটি হাফ ও ফুলশার্ট এবং একটি হাফ ও ফুলপ্যান্ট পাবে। প্রয়োজনে টাইও দেওয়া হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা একটি হাফ এবং একটি ফুলশার্টের পাশাপাশি দু’টি করে ফুলপ্যান্ট পাবে। শুধু তাই নয় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একটি পোর্টাল তৈরি করেছে। যেই পোর্টালের মাধ্যমে কত সংখ্যক স্কুলড্রেস তৈরি হল, কত সংখ্যক স্কুলড্রেস কোন স্কুলে পৌঁছালো আপডেটগুলি আসবে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে ওই পোর্টালের মাধ্যমে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েরা দু’টি শার্ট এবং একটি স্কার্ট ও একটি টিউনিক পাবে। স্কুল চাইলে টাইও দেওয়া হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টমের ছাত্রীরা পাবে দু’জোড়া সালোয়ার কামিজ এবং ওড়না। ছেলেদের প্যান্টের পকেটের জন্য হালকা কাপড়ের হিসেব আলাদা করে দিতে হবে প্রস্তুতকারকদের। লোগো-সহ ব্যাজ আসবে দফতর থেকেই। স্কুল ড্রেস তৈরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্কুলে পৌঁছানো এ ক্ষেত্রে গোটা প্রক্রিয়াটি সংঘটিত করতে সময় লাগবে দু থেকে তিন মাস। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় স্কুলড্রেস প্রস্তুতির জন্য একাধিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।