পটনায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানান, তিনি নিশ্চিত ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া গান্ধি ও তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধি জেলে যাবেন ৷ তাঁদের জেলে যেতেই হবে ৷ এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান রাহুল তাঁকে নিশানা করে অনেক মন্তব্য করেছেন ৷ কিন্তু কেউ তাঁকে জেলে পাঠাতে পারেনি ৷ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মা ও ছেলে এখন জামিনে ছাড়া পেয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৷ তাঁরা জেলে যাবেন। পটনায় একটি অনুষ্ঠানে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এই কথা বলেন ৷এদিন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানান আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ভারতে পড়াতে ফিরেছিলেন ৷ সেই সময় ইন্দিরা গান্ধির জমানা ৷ সে সময় বহু আইন লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা দেখেছেন ৷ এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে চাকরি খোয়াতে হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত ইন্দিরা গান্ধি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মতানৈক্য তৈরি হয় ৷ এর ফলস্বরূপ তৎকালীন আইআইটি দিল্লির অধ্যাপক সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে ছাঁটাই করা হয় ৷ তারপর জনসংঘ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে রাজ্যসভার সদস্য করে সংসদে পাঠায় ৷ এর সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন এই সময় আইনটাই অস্ত্র ৷ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মতে আগামী ৫০ বছরে সমাজে পেশা হিসেবে আইন শীর্ষস্থানে পৌঁছবে ৷ বিহারে শঙ্করাচার্যের সময় থেকে বিপ্লব শুরু হয়েছে এবং এখনও চলছে ৷ জয়প্রকাশ নায়ারণের সময়েও সেই বিপ্লবের আগুন জ্বলেছে ৷ বিহার থেকেই বিপ্লবের সূচনা ৷ ১৫ এপ্রিল শনিবার রাতে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফকে গুলি করে হত্যা করা হয় ৷ এই ঘটনার রেশ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে ৷ পটনায় মৃত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের সমর্থনে স্লোগান ওঠে ৷ এই প্রসঙ্গে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন যদি কোথাও গণতন্ত্র থাকে তাহলে যে কেউ যা খুশি বলতে পারে ৷ আতিকের পক্ষে স্লোগান দেওয়ার ফলে তারা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করছে ৷ আতিক আহমেদ খুন নিয়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানান সবাই জানে সে কী ধরনের মানুষ ছিল ৷ তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন তাই এই ঘটনায় আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ৷বিশ্বে জনসংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত ৷ এ নিয়ে ছ বারের সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও আইন কার্যকর করার দরকার নেই ৷ দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি হলেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে ৷ তিনি জানান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস করতে প্রতি বছর ১০ শতাংশ অর্থনৈতিক উন্নতি হওয়া প্রয়োজন ৷ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা মানুষ যেন কখনও মদ স্পর্শ নাকরে৷ মানুষকে এ নিয়ে সচেতন করতে হবে ৷আরও পড়ুন ওরা যা খুশি করে নিকনরেন্দ্র মোদিকে ভয় পাই না বললেন রাহুল গান্ধি”