স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন ডাক্তার স্বামী । রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার মণ্ডপঘাটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, নিহতের নাম রত্নতমা বালা। অভিযুক্তর নাম অরিন্দম বালা। তিনি পেশায় ডাক্তার। বর্তমানে পিজি হাসপাতালে এমডি করছেন।পরিবার জানিয়েছে, দু বছর আগে বাগদার নীলগঞ্জের বাসিন্দা বছর ২৫-এর রত্নতমার বিয়ে হয় মণ্ডপঘাটার অরিন্দম বালার সঙ্গে । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় কয়েকবার তা মিটে গেলেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। প্রতিনিয়ত এই অশান্তি জেরেই শেষ আটমাস ধরে দু জনে আলাদা থাকছিলেন।ঘটনা প্রসঙ্গে অরিন্দমের ভাই অনির্বাণ বালা বলেন, গতকাল বউদি বাড়িতে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করে। রাতে দাদা গিয়ে বউদিকে বাড়ি নিয়ে আসে। তখন তাদের দু জনের আচরণই স্বাভাবিক ছিল। আমাদের খেতে বলে দাদা ও বউদি উপরের ঘরে চলে যায়। এরপর আজ সকালে দাদা নিচে নেমে এসে আমায় বলে, আমি তোর বউদিকে মেরে ফেলেছি। এই ঘটনায় অভিযুক্তের প্রতিবেশী অমরেশ হাওলাদার বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনি অরিন্দম ওর বউকে মেরে ফেলেছে ৷ অরিন্দম পেশায় ডাক্তার ৷ কিন্তু ওর কোনও ডাক্তার সুলভ আচরণ আমরা দেখিনি ৷ ও বাবা-ভাই সকলকেই মারধর করত ৷ ওর স্ত্রীও হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ছিল বলে শুনেছিলাম ৷ দু জনে বোধহয় ভালোবেসে বিয়ে করেছিল ৷ সামাজিকভাবে বিয়ে না করে তাঁরা রেজিস্ট্রি করেছিল ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে বাগদা থানার পুলিশ। রত্নতমার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত অরিন্দম বালা বাগদা থানায় আত্মসমর্পণ করেন । তাঁকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করছে বাগদা থানার পুলিশ। ঠিক কেন তিনি এই ধরনের কাণ্ড ঘটালেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারে সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।