এবার লোকসভা থেকে একসঙ্গে সাসপেন্ড করা হল ৩৩ জন বিরোধী পক্ষের সাংসদকে৷ সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও৷ এ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অসিত মাল, শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রতিমা মণ্ডল এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়দের নামও৷ এ ছাড়াও বিজেপি-র টিকিটে জয়ী এবং পরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুনীল কুমার মণ্ডলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে এই সাংসদদের৷ এ দিনও সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গত ১৩ তারিখের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করে হই হট্টগোল শুরু করেন কংগ্রেস সহ বিরোধী দলেরর সাংসদরা৷ লোকসভার ভিতরে ঢুকে ধোঁয়া ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সংসদের নিরাপত্তায় গাফিলতির বিষয়টি সামনে চলে এসেছে বলে দাবি করেন বিরোধী পক্ষের সাংসদরা৷ বিরোধীদের হট্টগোলের মুখে বার বারই অধিবেশন মুলতবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা৷ শেষ পর্যন্ত বেলা তিনটেয় গোটা দিনের মতো অধিবেশন মুলতবি করে দেন অধ্যক্ষ৷ গত বৃহস্পতিবারও এই একই অভিযোগে লোকসভার ১৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ৷ রাজ্যসভা থেকেও তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়৷ তাঁদের সাসপেনশন তোলার জন্য অধ্যক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন অধীর৷ এবার তাঁকেই সাসপেন্ড করে দিলেন অধ্যক্ষ৷ বিরোধী শিবিরের সাংসসদের সাসপেন্ড করার জন্য প্রস্তাব পেশ করেন সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী৷ সেই তালিকাতেই ছিল অধীর, কল্যাণ, সৌগত, অপরূপাদের নাম৷ এ ছাড়াও রয়েছে এ রাজা, দয়ানিধি মারান সহ কয়েকজন ডিএমকে সাংসদর নাম৷ আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত গোটা শীতকালীন অধিবেশনেই সাংসপেন্ড থাকবেন এই ৩৩ জন সাংসদ