চেন্নাই সুপার কিংস: ২১৩/৩ (ঋতুরাজ-৯৮, মিচেল-৫২)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৩৪/১০ (মার্করাম-৩২, ক্লাসেন-২০)
৭৮ রানে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস
হায়দরাবাদকে উড়িয়ে দিয়ে দুম্যাচ পর জয়ের সরণিতে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস। গত দুই ম্য়াচে লখনউ সুপার জায়ান্টদের কাছে পরাস্ত হয় চেন্নাই। যার জেরে এক ধাক্কায় লিগ তালিকার পাঁচেরও নিচে নেমে যেতে হয়েছিল ধোনিদের। স্বাভাবিক ভাবেই জয়ের খিদে বাড়তে শুরু করে। আর এদিন অতীত ভুলত্রুটি শুধরে নিয়েই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এল কাঙ্ক্ষিত জয়। একদিকে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেললেন ঋতুরাজ। অন্যদিকে হায়দরাবাদ ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামালেন তুষার দেশপাণ্ডে। ব্যাটিং-বোলিং যুগলেই দুপয়েন্ট ধরে তুলল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। চলতি আইপিএলে মারকাটারি ফর্মে রয়েছেন প্যাট কামিন্সরা। রেকর্ড অঙ্কের রান তুলে বিপক্ষকে রীতিমতো চাপে ফেলে দিচ্ছে নিজামের শহরের দল। তবে এদিন টস জিতে ধোনিদের ব্যাট করতে পাঠান কামিন্স। যেখানে ওপেনার অজিঙ্ক রাহানে ৯ রানে আউট হলেও জ্বলে ওঠেন ঋতুরাজ। ১০টি চার ও তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৪ বলে ৯৮ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস উপহার দেন অধিনায়ক। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন ডেরেল মিচেল। স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫২ রান। শিবম দুবে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ধোনিও একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২ বলে ৫ রানে নটআউট থাকেন। তখন চেন্নাই দুশোর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। তবে চলতি টুর্নামেন্টে ২০০ করেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলা দায়। উইকেট যেমনই হোক না কেন, রাজত্ব করছেন ব্যাটাররাই। কিন্তু এদিন চিপকে তেমনটা হতে দিলেন না তুষার দেশপাণ্ডে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে শুরুতেই চেন্নাইয়ের ভিত নাড়িয়ে দেন। তিন ওভারে ২৭ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন। ২ ওভারে ১৭ রান দিয়ে জোড়া উইকেট পান পাতিরানা।