কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২৩৫/৬ (সল্ট-৩২, নারিন-৮১, রঘুবংশী-৩২, নবীন-৪৯/৩)
লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১৩৭/১০
৯৮ রানে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স
লখনউ সুপার জায়ান্টস ৯৮ রানে হারিয়ে পয়েন্টস টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে আসলো কলকাতা নাইট রাইডার্স।এদিন টস জিতে নাইটদের ব্যাট করতে পাঠান রাহুল। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে নামার আগে দলে একটি বদল করেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা হর্ষিত রানাকে রাখেন প্রথম একাদশে। যিনি এদিনের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি হয়ে উঠলেন। ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত শুরু করেন কেকেআরের (KKR) দুই ওপেনার। সেই চেনা আগ্রাসী মেজাজেই ধরা দেন ফিল সল্ট। ১৪ বলে করেন ৩২ রানে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তবে বাকিদের ছাপিয়ে এদিন সমস্ত লাইমলাইট কেড়ে নেন সুনীল নারিন। ৩৯ বলে ৮১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন তিনি। ৬টি বাউন্ডারি আর ৭টি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। আর সেই ঝড়েই তছনছ হয়ে যায় লখনউ। এর পর অংক্রিশ রঘুবংশীও ৩২ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। রিঙ্কু অবশ্য ফেরেন ১৬ রান করেই। শ্রেয়সের ২৩ ও রমনদীপ সিংয়ের অপরাজিত ২৫ রানের সৌজন্যে লখনউয়ের সামনে বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করে দেয় কেকেআর। লখনউয়ের স্টেডিয়ামে এটাই আইপিএলে কোনও দলের করা সর্বোচ্চ রান। নারিন যখন ব্যাট হাতে লখনউ বোলারদের চুপ করিয়ে দিলেন, তখন হাত ঘুরিয়ে এলএসজির ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামালেন হর্ষিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী। হোম ফেভারিটদের হয়ে সর্বোচ্চ রান মার্কাস স্টয়নিসের। ৩৬। রাহুল আউট হন ২১ রান করে। নাইট পেস ও স্পিনে ক্রিজে টিকতেই পারেননি বাকিরা। ফলে ১৬.১ ওভারেই ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। ৯৮ রানে ম্য়াচ জিতেই লিগ তালিকার শীর্ষে পৌঁছে যান শ্রেয়সরা। আর সেই সঙ্গে প্লে অফে খেলা নিয়ে আর তেমন কোনও ধন্দ রইল না। ১২ বছর পর ওয়াংখেড়েতে মুম্বইকে হারানোর পর তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই প্লে অফের টিকিট কার্যত নিশ্চিত।