নীতীশ কুমার কোনদিকে থাকবেন? বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পরে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সেই প্রশ্নের উত্তর আসার আগেই একই বিমানে পাটনা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। নীতীশের ঠিক পিছনেই বসেন আরজেডি নেতা। তবে দু’জনেই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তার জেরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক জল্পনা। কানাঘুষো শুরু হয়েছে যে তাহলে কি নরেন্দ্র মোদীর এনডিএয়ের ‘বিমান’ ছেড়ে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের ‘বিমানের’ সওয়ারি হলেন নীতীশ? যদিও সেরকম কোনও সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন নীতীশের দলের নেতারা। জেডিইউয়ের এক নেতা জানান, এনডিএ জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হলেন নীতীশ। এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লিতে যাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘জেডিইউয়ের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি ত্যাগী। জেডিইউ এনডিএতে ছিল এবং এনডিএতে থাকবে।’ ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এ বার আর সংসদের নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি। তবে জোট হিসাবে গরিষ্ঠতা রয়েছে এনডিএর। এই আবহেই নিজেদের ঘাঁটি আরও শক্ত করতে বুধবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছে এনডিএ এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিকেরা। এই বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা তৈরি হয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। এই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বুধবার সকালে। ঘটনাচক্রে, একই বিমানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। বিমানে তাঁদের আসনও একেবারে পর পর। যদিও, তাঁরা আলাদা আলাদা দু’টি বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন। নীতীশ দিল্লি যাচ্ছেন এনডিএ শরিকদলগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে। তেজস্বী বৈঠকে বসবেন ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের সঙ্গে। তবে বিহার থেকে একই বিমানে চেপে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁরা।উল্লেখ্য, নীতীশের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে তিনি বার বার জোট বদলেছেন। জানুয়ারি মাসেই জোট ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে এনডিএতে যোগ দিয়েছেন তিনি। তার পর থেকে এনডিএতেই রয়েছেন। অন্য দিকে, তেজস্বী শত্রু জোটের শরিক। এই আবহেই একই বিমানে চড়ে তাঁদের দিল্লিযাত্রাকে কেন্দ্র করে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ৪০ আসনের বিহারে নীতীশের জেডিইউ এবং বিজেপি-উভয় জোটসঙ্গীই ১২টি করে আসন পেয়েছেন। আরজেডি পেয়েছে ৪টি আসন।