খেলা

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ

 ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে ৪ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। রবিবারের ভারত-পাকিস্তানের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পরের দিনই, ফের নিউইয়র্কে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলল দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশের মধ্যে। রবিবার পাকিস্তান পারেনি। এদিন তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। সোমবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তারা নড়বড় করছিল। পাওয়ার প্লে-তেই তানজিম হাসান শাকিবের দাপটে মাত্র ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে তারা কোনও মতে টেনেটুনে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন তানজিদ। ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন এবং ১ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। প্রথম ওভারেই তানজিম হাসানের বলে রেজা হেন্ড্রিক্স গোল্ডেন ডাক করে এলবিডব্লিউ হন। তৃতীয় ওভারে কুইন্টন ডি’কক ১১ বলে ১৮ করে তানজিমের বলে বোল্ড হন। এর পর এডেন মার্করামকে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ওভারে প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন ৮ বলে ৪ করে তিনি আউট হয়ে যান। পঞ্চম ওভারে ত্রিস্তান স্টাবসকে (৫ বলে ০) ফেরান তানজিম। তখন প্রোটিয়াদের হাল দেখে মনে হচ্ছিল, ১০ ওভারও হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গড়াবে না। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে এনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার মিলে দলের হাল ধরেন। জুটিতে তাঁরা ৭৯ রান করেন। সেই সৌজন্যেই একশো রানের গণ্ডি টপকায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিছুটা মান বাঁচে প্রোটিয়াদের। ২টি চার, তিনটি ছক্কার হাত ধরে ক্লাসেন ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন। ৩৮ বলে ২৯ করেন মিলার। তবে এই ১১৩ রান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রোটিয়াদের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে তারা ১১৬ রান করেছিল। ১৭ বছর আগের সেই রেকর্ড এদিন ভেঙে দিল প্রোটিয়ারা। এছাড়াও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা টি২০-তে সর্বনিম্ন স্কোর করার নজির গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মিরপুরে টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৪৮ রান। শেষ ওভারে টানটান উত্তেজনার নাটকে পিছিয়ে পড়ল টাইগাররা। মাত্র ৪ রানে হারতে হল শাকিব আল হাসানদের। জিততে হলে শেষ ১২ বলে ১৮ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারে হয় ৭ রান। যার ফলে শেষ ৬ বলে ১১ রান দরকার ছিল তাদের। কিন্তু কেশব মহারাজ বল করতে এসে চাপে ফেলে দেন টাইগারদের। প্রথম ২ বলে অবশ্য ওয়াইড সহ চার রান হয়েছিল। জিততে তখন ৪ বলে ৭ রান দরকার ছিল টাইগারদের। এই পরিস্থিতিতে একটি বড় শট খেলতে হত বাংলাদেশকে। কিন্তু তৃতীয় বলেই জাকের আলিকে (৯ বলে ৮ রান) ফেরান মহারাজ। এখানেই ম্যাচের রং কিছুটা বদলে যায়। এর পর চতুর্থ বলে হয় ১ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে ফের উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। মাহমুদুল্লাহকে (২৭ বলে ২০) আউট করে দেন কেশব মহারাজ। তাও শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে পারলে বাংলাদেশের জেতার সুযোগ ছিল। কিন্তু ষষ্ঠ বলে ১ রান দেন মহারাজ। ৪ রানে ম্যাচটি হারে বাংলাদেশ। এদিকে পরপর তিন ম্যাচ জিতে সুপার আটে জায়গা কার্যত পাকা করে ফেলল প্রোটিয়ারা।