জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শিগেরু ইশিবা ৷ শুক্রবার দেশের শাসকদল লিবেরাল ডেমোক্রেটিক পার্টি বা (এলডিপি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ ৬৭ বছর বয়সি ইশিবার জাপানের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ৷ এদিন তিনি দলের ভোটে জয়ী হন ৷ এই মুহূর্তে জাপানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এলডিপি-র ৷ অক্টোবরের প্রথম দিকে ইশিবা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেবেন বলে জানা গিয়েছে ৷ বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল ৷ চলতি বছরের অগস্টে তিনি জানিয়ে দেন যে, লিবেরাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান নির্বাচনের যে ভোট হয়, তাতে তিনি লড়বেন না ৷ সেপ্টেম্বরেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মেয়াদ ফুরোচ্ছে ৷ তখনই জানা গিয়েছিল যে, জাপান নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে ৷ ফুমিও কিশিদার বিরুদ্ধে ওঠা একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে জাপানের জনমানসে জনপ্রিয়তা কমছিল এলডিপি’র ৷ তাই শাসকদল এলডিপি-ও মানুষের বিশ্বাস-ভরসা ফিরে পেতে একজন দুর্নীতিমুক্ত নেতা চেয়েছিল ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের অধিকাংশ সময়ই জাপানের ক্ষমতায় থেকেছে এলডিপি ৷ শুক্রবারের এই ভোটে 9 জন আইনসভার সদস্য অংশ নিয়েছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে 2 জন মহিলা ছিলেন ৷ সেই দু’জন মহিলার মধ্যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রী সানায় টাকাইচি-কে পরাজিত করে দলের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন শিগেরু ইশিবা ৷ টাকাইচি নির্বাচিত হলে তিনিই জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতেন ৷ কিন্তু তাঁকে হারিয়ে নেতা নির্বাচিত হন শিগেরু ইশিবা ৷ এলডিপি তাঁকে জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে ৷ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশটির প্রতিরক্ষা নীতির বিশেষজ্ঞ ইশিবা ৷ তিনি ন্যাটোর মতো এশিয়ার জন্য একটি সামরিক নিরাপত্তা জোট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায় ৷ ইশিবা তাইওয়ানের গণতন্ত্রের সমর্থক ৷ আগামী মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর ক্যাবিনেট ইস্তফা দেবে ৷ তারপর দেশের সংসদীয় ভোটে সরকারিভাবে নির্বাচিত হলে নয়া মন্ত্রিসভা গঠন করবেন শিগেরু ইশিদা ৷