কেন্দ্রের তরফ থেকে চালু হল এক দেশ এক রেশন। যা ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১২টি রাজ্যতে চালু হল। নতুন বছরের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এই সুবিধা। এই ব্যবস্থায় রেশন কার্ড দিয়ে যে কোন দোকান থেকে কেনা যাবে খাদ্য দ্রব্য। প্রাথমিক দফাতে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, গুজরাত মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্ণাটক, কেরল সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যতে শুরু হয়েছে এই পরিসেবা। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে সারা দেশে এই ব্যবস্থা চালু করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছে মোদি সরকার। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ২০২০-এর ১ জুন থেকে দেশজুড়ে অভিন্ন রেশন কার্ড চালু হবে। তার জন্য প্রতিটি রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। যদিও এই ইস্যুতে বেঁকে বসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিছ্এয দিন আগেই ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’কে বেআইনি আখ্যা দিয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভা – দুই কক্ষেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরব হন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মানস ভুইঁয়ারা। রেশন ডিলাররাও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছেন। তাঁদের দাবি, রেশন ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার জন্যই এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্য খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, অভিন্ন রেশন কার্ড চালু হলে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়বেন বাংলার মানুষ। রাজ্যের কোনও মানুষ যাতে একদিনও অভুক্ত অবস্থায় না থাকেন, তার জন্য খাদ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় ৯ কোটি মানুষ নামমাত্র মূল্যে চাল, গম পেয়ে থাকেন। তার জন্য আলাদা আলাদা রেশন কার্ড রয়েছে। অভিন্ন রেশন কার্ড হলে সেই সব গ্রাহকরা রেশনের মাল তুলতে অসুবিধায় পড়বেন।