কলকাতা

বাংলার মহিলারা সবচেয়ে সুরক্ষিত, এনসিআরবি রিপোর্টেও নিরাপদ শহরের তকমা পেয়েছে কলকাতা: কাকলি

বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। কঠোর হাতে দুষ্কৃতি দমন করা হয়। এখানেই মহিলারা সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত।’ শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বললেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। উল্লেখ্য, ২০১৯ এনসিআরবি প্রতিবেদনেও দেখা গেছে, পর পর দু’বছর ধরে কলকাতা ১৯ টি শহরের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ। বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তার কথা জানিয়ে রাজ্যের মহিলা থানার উল্লেখ করেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, ‘পণ এবং গার্হস্থ্য ঝামেলা, অপহরণ এবং যৌন অপরাধ এর মোকাবিলা করার জন্য শহরের প্রতিটি থানায় কমপক্ষে তিন জন মহিলা পুলিশ আছে বাংলা জুড়ে ৬৫টি বিশেষ মহিলা থানার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ইতিমধ্যেই ৪৮ টি থানা চালু করা হয়েছে। তারমধ্যে শুধু কলকাতাতেই ৮ টি মহিলা পরিচালিত থানা আছে।’ মহিলাদের বিরুদ্ধে যে কোনও অপরাধ রোখার জন্য রাতে রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডে মহিলা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। যে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বারবার আঙুল তুলছে বিজেপি তা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির চেয়ে অনেক ভালো বলে দাবি করেন কাকলি। তাঁর কথায়, ‘গুড গভর্ন্যান্স কাকে বলে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন। এখন ভোটের সময় মিথ্যা ও অপপ্রচার করে বাংলার মনুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা।’ নাম না করে অমিত শাহকে কাকলির কটাক্ষ, ‘ভোট নিয়ে ওনার একটা ভবিষ্যদ্বাণীও মেলে না, তিনি নাকি খুব বড় নেতা! বলেন, ‘লোকসভা ভোটের সঙ্গে পরে বিভিন্ন রাজ্যের ভোটের ফলাফলের তুলনা করলে দেখা যাবে সর্বত্র বিজেপির ভোট কমেছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা কথা বলছেন উনি।’ নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন বিজেপি বিরোধী বলে শান্তিনিকতনে তাঁর আবাস স্থল নিয়ে মিথ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি, বাংলার মানুষের আর কোনও চাহিদা নেই। কারণ সব কাজ করেছে মমতা সরকার। কিন্তু ১০০ শতাংশ কাজ তো করা যায় না। সেইটুকু অংশ নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করছে বিজেপি। 

https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/217841526592302