আজ দুপুরে পিএসি-র প্রথম বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন মুকুল রায়। কারণ এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। আজ বিকেলে ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। বৈঠকে যে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না সেকথা আগেই মেল করে বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে পিএসি-র অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম বৈঠকে পৌরহিত্য করেন তাপস রায়। আগামী ১৩ ও ২৭ অগাস্ট পিএসি-র পরবর্তী বৈঠক। আজ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্মল ঘোষ, তাপস রায়, অশোক দেব, দেবব্রত মজুমদার, স্বর্ণকমল সাহা, অসীমা পাত্র, দেবাশিস কুমার ও শ্যামল মণ্ডল। এদিকে মুকুলকে পিএসির চেয়ারম্যান করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিজেপি। তাঁর উপস্থিতির প্রতিবাদ জানিয়ে বৈঠক বয়কট করেছিল তারা। ফলে চেয়ারম্যান ও বিরোধীদের অনুপস্থিতিতেই হয়ে গেল এই কমিটির প্রথম বৈঠক। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে এবার আদালতে যেতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরে দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে সন্তুষ্ট নন তিনি। দীর্ঘকালীন মেয়াদে শুনানি হতেই থাকবে, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে এমনটাই মনে করছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। আর তাই এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই পিএসসি চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ার পর মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন জমা করেছে বিজেপি। শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায় এখন দিল্লিতে থাকায় দ্বিতীয় শুনানিতে হাজির হননি। শুক্রবার, ২৫ মিনিটের একটু বেশি সময় ধরে চলে শুনানি। শুনানি শেষে বেরিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না বিরোধী দলনেতা। যদিও পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ‘বিধানসভায় ওপেন ব্যালটে ভোট দিলে অন্য রাজ্যে অভিযোগ করতে হয় না। পরের দিনই বিধায়ক পদ বাতিল হয়ে যায়। এ রাজ্যে গত ১০ বছরে একটাও দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি। গাজলের সিপিএম বিধায়কের ক্ষেত্রে ২৩ বার শুনানি হয়েছিল।’ ভোট চলে এসেছিল।তবে মুকুল রায়ের বিজয়পথ খারিজের বিষয়ে স্পিকার দ্রুত নিষ্পত্তি করবেন বলে আশাবাদী শুভেন্দু। পূর্ব অভিজ্ঞতায় একটা ঘটনাতেও সময়ে নিষ্পত্তি হয়নি বলেই দাবি করলেন তিনি। আর তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে শুনানির নিষ্পত্তি হয় সেজন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চাওয়ার চিন্তাভাবনা করেছেন। জানালেন, অগস্ট মাসেই আদালতের দ্বারস্থ হবেন। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি হয় বিধানসভায়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরে শুনানিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অম্বিকা রায়। যদিও হাজির ছিলেন না মুকুল রায়। সূত্রের খবর, ২৫ মিনিট শুনানি হয়। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৭ অগস্ট। বেলা দেড়টা নাগাদ শুনানি শেষ করে স্পিকারের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন শুভেন্দু।