সরকার তফসিলি জাতি উপজাতিদের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। বুধবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা দেশের মধ্যে এই রাজ্যেই প্রথম কাস্ট কাউন্সিল তৈরি হয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। নবান্নে যার প্রথম বৈঠকও হয়ে গেল বুধবার। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তফসিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ বাজেট আরও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি চাকরিক্ষেত্রে তাঁদের জন্য সংরক্ষণ বাড়ানো হয়েছে। এবার ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী অণগ্রসরশ্রেনীর মানুষদের জন্য Scheduled Caste Advisory Council গঠন করেছিলেন। বুধবার নবান্নে নবগঠিত তফসিলি জাতি উন্নয়ন কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হল। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন তফসিলি সংগঠনের তরফে প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণে আরও বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য় সরকার। তিনি এদিন জানিয়ে দিলেন, এখন থেকে চাকরিক্ষেত্রে তফসিলি জাতির প্রার্থীদের ২২ শতাংশ সংরক্ষণ করা হল। পাশাপাশি আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। তিনি জানান, বিগত ১০ বছরে রাজ্য় সরকার ১ কোটি ১৪ লক্ষ কাস্ট সার্টিফিকেট বিলি করেছে। এরমধ্যে চলতি বছরেই ১৭ লক্ষ ৩৫ হাজার কাস্ট সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪০ হাজার আদিবাসী ও তফসিলি মানুষ পেনশনের আওতায় এসেছে। ৬০ বছর বয়সীরা মাসে ১০০০ টাকা করে পেনশন পাচ্ছেন। বিগত ১০ বছরে ১২ লক্ষ তফসিলি জাতি, উপজাতি পরিবারকে জমির পাট্টা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৭৩ লক্ষ তফসিলি পড়ুুুুয়া স্কলারশিপ পাচ্ছে। এছাড়াও SC-ST পড়ুয়ারা স্বল্প সুদে ঋণ পাচ্ছে উচ্চ শিক্ষার জন্য। মুখ্য়মন্ত্রীর কথায়, অণগ্রসরশ্রেনীর মানুষদের জন্য বাংলা যা যা করেছে তা দেশের কোনও রাজ্য় করেনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন, তফসিলি উন্নয়নে ছোট ছোট বিষয়েও নজর রাখে রাজ্য সরকার। আদিবাসী ও তফসিলিদের মধ্যে মনসা পুজোর চল বেশি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২৭০টি মনসা থানের উন্নতিসাধন করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি তফসিলি পড়ুয়াদের স্কিল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তাঁদের জন্য ইংরেজী মাধ্যম স্কুল খোলা হয়েছে। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন বলেন, তফসিলিরাও বর্তমানে স্বনির্ভর হয়ে সমাজের মূল স্তরে উঠে এসেছে। আগামীদিনেও তাঁরা রাজ্যের উন্নতিতে এগিয়ে আসবে।