কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ভবনের বাইরে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে থাকেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতা কর্মীরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেখা তাঁরা পাননি। এর কিছুক্ষণ পরেই সেখানে প্রবেশ করে দিল্লি পুলিশ। কার্যত টেনে তৃণমূল নেতাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত তৃণমূল নেতাদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এদিন কৃষি ভবনে যাওয়ার আগে অভিষেক বলেন, “এই সভায় সকাল ১১টা থেকে সবাই এসে উপস্থিত হয়েছেন। গত পরশু রাতে রাজধানী এসেছি। গতকাল দিল্লিতে কর্মসূচি ছিল। গতকাল র্যাফ, আধাসামরিক বাহিনী, দিল্লি পুলিশের আধিকারিক নেমেছিল ৫০ জন সাংসদ আটকাতে। আজকেও এমন ভাবে পুলিশ আধাসামরিক বাহিনী, নামানো হয়েছে যেন ভারত-চীন যুদ্ধ হচ্ছে। রোজ মণিপুর জ্বলছে। আর আমাদের সভা আটকাতে অমিত শাহের পুলিশ নেমে পড়েছে। মন্ত্রী দেখা করল না, রেল বাতিল হল, তারপরেও সভা হল। আমাদের বলেছিল মমতা পুলিশ নয়। এটা দিল্লি পুলিশ ছ’ফুট ডান্ডা। এর পরেও আমরা সরে আসিনি। কারণ আমাদের মেরুদণ্ড সোজা। ধমকে চমকে লাভ নেই।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম আমাদের গায়ে আঁচড় পরলে ছেড়ে কথা বলব না। যে যে ভাষা বোঝে সেটা বোঝাব। আমাদের সৌজনতা আমাদের দুর্বলতা নয়। পুলিশ দিয়ে আটকানো যাবে না। ইডি, সিবিআই দিয়ে আটকানো যাবে না। ঘরে ঢুকিয়ে রাখা যাবে না। মানুষ বলেছিল দিল্লি চল। মোদি-শাহ আটকাতে পারেনি। বাংলার মানুষ দিল্লি এসেছে। আপনারা বলুন কি চান? আত্মসমর্পণ না প্রতিরোধ মোদীর হাতে রিমোট কন্ট্রোল বোতাম থাকলে। আপনার হাতে থাকবে ইভিএম বোতাম।”