দেশ

প্রায় ২ ঘণ্টা পর অবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ছাড়ল দিল্লি পুলিশ

প্রায় ২ ঘণ্টা পর অবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতানেত্রীদের ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ৷ পুলিশ লাইনে আটকে থাকার পর রাত এগারোটা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতানেত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হয়৷ অভিষেক সহ তৃণমূলের নেতানেত্রীদের যে পুলিশ ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছিল, তার বাইরে ভিড় করেছিলেন কলকাতা থেকে যাওয়া তৃণমূলের প্রচুর কর্মী সমর্থক৷ মোতায়েন ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশবাহিনী৷ ফলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যা ঘটেছে আপনারা সবাই দেখেছেন৷ গত দু বছর ধরে বাংলার প্রতি যে লাঞ্ছনা, তার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে গতকাল রাজঘাটে পৌঁছেছিলাম৷ সেখানে দু ঘণ্টা আমরা শান্তিপূর্ণ ধরনায় অংশ নিয়েছিলাম৷ এ দিন সকাল দশটায় যন্তর মন্তরে কর্মসূচি ছিল৷ আজকে বেলা একটা থেকে যন্তর মন্তরে আমরা সভা করি৷ এর পর বাংলা থেকে ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে আমরা হেঁটে কৃষি ভবনে যাই৷ আমাদের প্রতিনিধি দলে ৪২ জন ছিলেন৷ এদের মধ্যে আট জন এমন ছিলেন যাঁদের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখা হয়েছে৷ আমরা ছ টার সময় কৃষি ভবনে পৌঁছই৷ সেখানে আমাদের বসতে দেওয়া হয়৷ কথা ছিল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব৷ শুধুমাত্র যাঁদের লিস্টে নাম ছিল তাঁদেরকেই কৃষি ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়৷ প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর ডেরেক ও ব্রায়েন এবং মহুয়া মৈত্র প্রতিমন্ত্রী সচিবের কাছে যান৷ তখন তাঁদের বলা হয়, ভুক্তভুগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মন্ত্রী দেখা করবেন না৷ তখন আমরা বলি যে বাঁকুড়ার অন্তত যে পরিবারগুলির শিশুরা দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গিয়েছে, সেই চার জনের সঙ্গে অন্তত দেখা করুক৷ কিন্তু প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করিয়ে মন্ত্রী পালিয়ে যান৷’ অভিষেক আরও বলেন,  ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ধরনায় বসেছিলাম৷ হঠাৎ করে পুলিশ এনে আমাদের টেনেহিঁচড়ে বের করে দেওয়া হল৷ মহিলা নেত্রী, সাংসদদের সঙ্গেও ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে আজ কালো দিন৷ মহিলাদের পর্যন্ত ছাড়েনি৷ বীরবাহা হাঁসদা, দোলা সেনদের ১৪-১৫ জন অফিসার তাঁদের মধ্যে পুরুষ অফিসারও ছিলেন, টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছে৷ মহুয়া মৈত্রকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়েছে৷’ সিঙ্গুর পর্বের কথা মনে করিয়ে অভিষেক আরও বলেন, ‘সিপিএম সিঙ্গুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুলের মুঠি ধরে বের করেছিল, তার ফল কী হয়েছিল সবাই দেখেছেন৷ শাসক দলের পতন হয়েছিল৷ গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলে৷ আজকে স্বৈরচারিতার চরম নিদর্শন করে মানুষের প্রতিনিধিদের হেনস্থা করলেন, সেই স্বৈরচারী সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী৷’