দেশ

আয়কর দফতর তাঁর নিজের কাজ করেছে, কেউ হস্তক্ষেপ করেনি, হিন্দি সংবাদপত্রের অফিসে তল্লাশি নিয়ে সাফাই কেন্দ্রের

 বৃহস্পতিবার সকালে হিন্দি সংবাদপত্র দৈনিক ভাস্কর ও উত্তরপ্রদেশের নিউজ চ্যানেল ভারত সমাচারের অফিসে তল্লাশি করে আয়কর দফতর। আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে এদিন সকাল থেকে দৈনিক ভাস্করের অন্তত ৩০-৩৫টি ঠিকানায় হানা দিয়েছেন আয়কর দপ্তরের কর্তারা। দিল্লির পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রে ভাস্করের বিভিন্ন অফিসে আয়কর বিভাগ তল্লাশি চালিয়েছে। তল্লাশি চালানো হয়েছে, সংস্থার কর্ণধারদের বিভিন্ন ঠিকানাতেও। ভাস্করের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের একটি হিন্দি টেলিভিশন সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান সমাচারের অফিসেও হানা দিয়েছে আয়কর বিভাগ। এই দুটি সংবাদমাধ্যমকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় BJP সরকারের সমালোচনায় সরব হতে দেখা গিয়েছিল। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, ওই দু’টি সংবাদমাধ্যম মোদী সরকারের সমালোচনা করেছিল বলেই তাদের বিরুদ্ধে আয়কর দফতরকে কাজে লাগানো হয়েছে। সরকারের তরফে ওই অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, সরকার আয়কর

দফতরের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। সাংবাদিকদের অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলি স্বাধীনভাবে নিজেদের কাজ করে। আমরা তাদের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করি না। কোনও বিষয়ে রিপোর্টিং করার আগে ভাল করে খবর নেওয়া উচিত।’ আয়কর দফতর থেকে এদিনের তল্লাশি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। দৈনিক ভাস্কর গ্রুপের এক সম্পাদক জানিয়েছেন, তাঁদের জয়পুর, আমেদাবাদ, ভোপাল ও ইন্দোরের অফিসে তল্লাশি করা হয়েছে। লখনউতে ভারত সমাচার চ্যানেলের অফিসে ও সম্পাদকের বাড়িতেও তল্লাশি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সুর চড়াল তৃণমূল। ডেরেক ও’ ব্রায়েন টুইট করে ভাস্করের অফিসে আয়কর হানার নিন্দা করলেন। তারপর  তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে টুইট করলেন। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “যারা সত্য বলে, তাঁদের দমিয়ে রাখার এই চেষ্টার আমি তীব্র প্রতিবাদ করি। এটা গণতন্ত্রের মূল ভাবনার বিরোধী। সংবাদমাধ্যমের সবাইকে বলছি, শক্ত থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন। একসঙ্গে থাকলে কেউ অত্যাচার করতে পারবে না। ” মমতার অভিযোগ,”সংবাদমাধ্যম এবং সংবাদকর্মীদের উপর হামলা গণতন্ত্রকে দমন করার আরও এক পন্থা। নরেন্দ্র মোদি কীভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যর্থ হয়েছেন, দৈনিক ভাস্কর সাহসিকতার সঙ্গে সেই সত্যিটা তুলে ধরেছিল।”