খেলা

ছন্নছাড়া ফুটবল, লজ্জার পরাজয় মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের

হার দিয়ে এএফসি অভিযান শুরু মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের । ঘরের মাঠে তুর্কমেনিস্তানের আহল এফকের বিরুদ্ধে 0-1 ব্যবধানে পরাজিত সবুজ মেরুন ব্রিগেড । 83 মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল আহল এফকের আনায়েভের । ফুটবল বুদ্ধিতে তুর্কমেনিস্তানের কোচের কাছে পরাজিত মোলিনার ফুটবল বুদ্ধি । এই হারের সঙ্গে এএফসিতে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের আশা বড়সড় ধাক্কা খেল । এশিয়া মঞ্চে মেলে ধরার সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট । ভারতীয় ফুটবলের গণ্ডি পেরিয়ে মহাদেশীয় ফুটবল মানচিত্রে মেলে ধরার সুযোগ কাজে লাগানোর ইচ্ছেতে অন্যায় নেই । কিন্তু তা করতে গিয়ে হোসে মোলিনা সাহসী হলেন কই ?তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব এফকে-র বিরুদ্ধে প্রথম থেকে কোনও অজ্ঞাত কারণে মোলিনা শুরু করলেন তিন বিদেশি ফুটবলারকে নিয়ে । রক্ষণে আলবার্তো, আলড্রট এবং আক্রমনে কামিন্সকে নিয়ে তুর্কমেনিস্তান রক্ষণ ভাঙতে চেয়েছিলেন । তা প্রথমার্ধে ব্যর্থ । বরং অন্তত দুবার তুর্কমেনিস্তান গোল করার পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল । 32 মিনিটে বাসিনভের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয় । সেখানে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ । এএফসিতে সবুজ মেরুন যে গ্রুপে খেলছে সবচেয়ে দুর্বল দল । ৬৭ মিনিটে মোহনবাগান দুর্দান্ত সুযোগ পায়। ম্যাকলারেনের থেকে বল দেওয়া হয় জেসন কামিন্সকে। তিনি বাঁ পায়ে বল পান। কিন্তু নিজের প্লেয়িং ফুটে বল পেয়েও সেটাকে গোলে রাখতে পারেনি তিনি। নির্বিষ শট নেন এবং বাইরে মারেন। এর ঠিক দুই মিনিট পর ফের সুযোগ পায় মোহনবাগান। আর এ বার ছিলেন সেই কামিন্স। তিনি দারুণ জায়গায় বল পান। তিনি পোস্টের সামনে যেখান থেকে বল পেয়েছিলেন সেখান থেকে শট নিলে গোল করতে পারতেন। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে তিনি বল বাড়ান ডান দিকে থাকা ম্যাকলারেনকে। আর ম্যাকলারেনের পক্ষে পোস্টের ডান দিক থেকে শট নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে গোল করতে পারেনি। ৭১ মিনিটে আলবার্তো রদ্রিগেজ কর্নার থেকে বল পান ও শট নেন। কিন্তু পোস্টের অনেক উপর দিয়ে মারেন।প্রথমার্ধে মোহনবাগান খুব একটা বেশি আক্রমণ করতে পারেনি। বলার মতোও কোনও মুভ দেখা যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান অবশ্য খেলায় কিছুটা বদল আনে। দলে পরিবর্তন আনার পর খেলায় বদল চোখে পড়ে। প্রথমে দুই প্লেয়ার বদল করে সবুজ মেরুন। কিয়ানের জায়গায় নামেন ম্যাকলারেন অন্যদিকে দীপক টাংরির জায়গায় নামেন অনিরুদ্ধ থাপা। এর পর ৫৯ মিনিটে মোহনবাগান প্রথম পজ়িটিভ আক্রমণ করে। ম্যাকলারেন শট নেন, কিন্তু সেটা অফসাইড হয়।

৭২ মিনিটে জোড়া বদল করে মোহনবাগান। রবিসন রবিনহো নামেন লিস্টন কোলাসোর জায়গায়। অন্যদিকে অভিষেক সিং টেকচাঁমের জায়গায় নামেন শুভাশিস বসু। কিন্তু এই দুই প্লেয়ার নেমেও খুব একটা পার্থক্য তৈরি করতে পারেননি। বদলে ৮১ মিনিটে আহল একটা দারুণ শট নেয়। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন বিশাল কাইথ। অবশেষে ৮৩ মিনিটে আক্রমণ আহলের। ভাঙল লকগেট। আহলের সুপার সাব হয়ে উঠলেন আনিয়ভ এনভার। মোট ৬টা পাস খেলে বক্সের সামনে বল পান তিনি। পোস্টের বাঁ দিক থেকে দুর্দান্ত শট নেন। সেকেন্ড পোস্টে বল রাখেন, ঝাঁপিয়েও বাঁচাতে পারেননি বিশাল কাইথ।