এদিন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘গত ৪০ বছর ধরে বারবারই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, কেন্দ্র প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না । এবার সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে । রাজ্যের উচিত সাধারণ মানুষকে জ্বালানি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া ।’’ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির দাবি, পশ্চিমবঙ্গ জিএসটি সংগ্রহে মহারাষ্ট্র, গুজরাতের থেকে পিছিয়ে রয়েছে ৷ সে কারণেই এই বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পেয়েছে রাজ্য । তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের শিল্পের আকাল ৷ ছোট কারখানা থেকে জিএসটি আদায় করতে না পারার ব্যর্থতার জন্যই রাজ্য সরকার ১৪% জিএসটি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারছে না । আর সে কারণেই কেন্দ্রকে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে ।’’ এদিন অবশ্য এর পালটা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র । মুখ্যমন্ত্রীর বর্তমান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার অভিযোগ, সঠিক তথ্য ছাড়াই রাজ্যের সমালোচনা করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি । বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদের কথায়, শিল্প না থাকায় জিএসটি আদায় কম হচ্ছে এই তথ্য বাস্তবসম্মত নয় । বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশকে ৮ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, কর্নাটক পেয়েছে ৮ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা । তাহলে কি এটা ধরে নিতে হবে বিজেপি শাসিত এই দুই রাজ্যের শিল্প নেই ? তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলছেন জিএসটি সংগ্রহে মহারাষ্ট্র পশ্চিমবঙ্গের থেকে এগিয়ে । কিন্তু তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা ৷ তাহলে কি দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে শিল্প নেই ?’’ মিতভাষী হিসেবে পরিচিত অমিত মিত্র এদিন কার্যত একহাত নিয়েছেন পদ্মশিবিরের নেতাকে ৷ তিনি বলেন, ‘‘যতদূর জানি সুকান্তবাবু বোটানির অধ্যাপক । তাই জিএসটির বিষয়ে হয়তো জ্ঞান নেই । সে কারণেই অন্যের শেখানো বুলি আউড়াচ্ছেন । যদি রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে এতটাই উদ্বিগ্ন হন, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলোকে আইজিএসটি বাবদ যে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিন ৷’’