দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা দখলে রাতের অন্ধকারে বিশেষ অধ্যাদেশ নিয়ে এসেছে মোদি সরকার। আর ওই অধ্যাদেশের বিরোধিতায় ক্রমশই সুর চড়াচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ মঙ্গলবার নবান্নে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে ফের একবার ইডি, সিবিআই সহ কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন তিনি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, ‘জনতার ভোটে সরকার গঠন করতে না পেরে বিরোধী দলের সরকার ফেলতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। আসলে গণতন্ত্রকে খুন করছে বিজেপি সরকার।’ গত ১১ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, দিল্লি সরকারের অধীনস্ত আধিকারিকদের নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে রাজধানীর বাসিন্দাদের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের। কিন্তু শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশ কার্যকর করা যাতে না যায় তার জন্য কোমর কষে ঝাঁপায় কেন্দ্রীয় সরকার। গত শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠনের অধ্যাদেশ জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নয়া কর্তৃপক্ষই আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। যদি কারও নিয়োগ নিয়ে কর্তৃপক্ষ সহমতে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দিল্লির উপরাজ্যপাল। দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে বিজেপি সরকারের আনা অধ্যাদেশ নিয়ে অবিজেপি দলগুলির সমর্থন আদায়ে উদ্যোগী হয়েছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেওয়া সত্বেও দিল্লির আমলাদের বদলি ও পোস্টিং সংক্রান্ত ক্ষমতা অবৈধভাবে নিজেদের হাতে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি সরকার। তাই শীর্ষ আদালতে গ্রীষ্মের ছুটি হওয়ার দিনই রাতের অন্ধকারে অধ্যাদেশ জারি করেছে। যাতে ওই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ আনা না যায়। কিন্তু বিজেপিকে সহজে জিততে দেব না। রাজ্যসভায় ওই অধ্যাদেশ নিয়ে ভোটাভুটিতে বিজেপিকে হারিয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সুবর্ণসুযোগ এসেছে।’