গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই
প্রায় বছরই এক প্রকার নিয়ম করে পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগামী গ্রহাণু। এর মধ্যেই আবার খবর, ভয়ানক গতিতে একটি বিশালাকার স্পেস রক পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে চলতি সপ্তাহেই। খুব সম্ভবত সোমবারই পৃথিবীতে সেই অ্যাস্টারয়েড ধেয়ে আসতে পারে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, ২১ নভেম্বর তারিখে গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৪.৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ৪৩ লক্ষ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আর গ্রহাণুটির আয়তন ৭৭০ ফুট। গ্রহাণুটি ইতিমধ্যেই পৃথিবীমুখী হয়েছে, ধেয়ে আসছে প্রতি ঘণ্টায় ৪৮,১৬৮ কিলোমিটার বেগে। যদিও গাণিতিক অনুমান বলছে, গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আশঙ্কা অবশ্যই রয়েছে। নাসা সব সময়ই এই গ্রহাণুগুলিকে পর্যবেক্ষণ করছে। নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কো-অর্ডিনেশন অফিস এই গ্রহাণু সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে। নাসা জানিয়েছে, গ্রহাণুটির নাম ২০১৯ ওআর১ (Asteroid 2019 OR1) গ্রহাণুটি পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যেতে পারে। পৃথিবী থেকে ৪.৩ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে অ্যাস্টারয়েডটির বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলে জানিয়েছে নাসা। পৃথিবীর কক্ষপথে এই সমস্ত বিপদকে ঠেকানোর জন্য নাসা’র ডার্ট মিশন (DART Mission) সম্প্রতি সমাপ্ত হয়েছে। নাসার ডার্ট মিশনের মূল লক্ষ্যই ছিল কক্ষপথে (Orbit) এই সমস্ত গ্রহাণু ও ধুমকেতুর মতো বস্তুর গতিপথ বদলানো যায় কিনা। বলাবাহুল্য, মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা যে কোনও বিশালাকায় পাথরের টুকরোকে প্রতিহত করার প্রযুক্তি নির্মাণে মানবজাতির এটি প্রথম পদক্ষেপ। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ৫৭০ কেজি ওজনের বাক্সের আকারের একটি মহাকাশযানকে মহাকাশে নিক্ষেপ করা হয় পৃথিবী থেকে ৯০ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা বস্তুর উদ্দেশ্যে। ডার্ট মিশনের প্রাথমিক লক্ষ্য কখনই কোনও গ্রহাণুকে ধ্বংস করা নয়, বরং তার গতিপথ বদলে দেওয়া।