চোখের সামনে মৃত্যুর হাতছানি দেখেছেন, দেখেছেন দলা পাকিয়ে যাওয়া শয়ে শয়ে মৃতদেহ। আদৌ বাঁচবেন কিনা এমন একটা মুহূর্তে পৌঁছে যাওয়া মানুষগুলোর মধ্যে অনেকেই অবশেষে ফিরলেন নিজের জায়গায়। কেউ গেলেন হাসপাতালে, কেউ বা বাড়িতে। যতদিন বাঁচবেন, ততদিন মনে থাকবে যে রাত, সেই রাতের পর নিজের জায়গায় ফিরে জীবনকেই ধন্যবাদ দিচ্ছেন সকলে। হাওড়া স্টেশনের পুরনো কমপ্লেক্সের ৮ নম্বর প্লাটফর্মে এসে পৌঁছল বালাসোর থেকে আসা হাওড়ার রিলিফ ট্রেন। অভিশপ্ত ওই দুর্ঘটনার আহত ২৯ জন এসে পৌঁছলেন হাওড়ায়। হাওড়া স্টেশনে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে যাঁরা গুরুতর আহত, তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতলে পাঠানো হয়। তাদের চিকিৎসার পর তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে যারা সুস্থ রয়েছেন, তাদেরকেও বাড়িতে পাঠানো হয়। রাজ্যের মন্ত্রী তথা পুরসভার আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি। এদিকে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে, শেষ কয়েক ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯৪। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১,১৭৫ জন। ৭৯৩ জনকে ছাড়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। হাসপাতালে ভর্তি ২ জনের অবস্থা অতি আশঙ্কাজনক।