মহাঅষ্টমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার নবম শ্রেণির ছাত্রী। প্রেমিকাকে উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খাইয়ে গণধর্ষণ। অভিযুক্ত ‘প্রেমিক’ ও তার দুই বন্ধু ৷ গত 30 সেপ্টেম্বর মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে ৷ বারুইপুরের এসডিপিও অভিষেক রঞ্জন জানিয়েছেন, সেদিন বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল ওই নাবালিকা ৷ সে সময় প্রেমিক এবং তার বন্ধুরা নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে ৷ নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ প্রেমিকের পাশাপাশি তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷ বাকি একজনের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মাস দেড়েক আগে সোশাল মিডিয়ায় বারুইপুরের ওই নাবালকের সঙ্গে আলাপ হয় নির্যাতিতার ৷ ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়া হয় ৷ আর তারপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের মধ্যে ৷ অল্প সময়ের সম্পর্কের ভরসায় অষ্টমীর রাতে বারুইপুর বাইপাস থেকে প্রেমিকের বাইকে চেপে নির্যাতিতা ঠাকুর দেখতে যায় ৷ প্রেমিকের দু’জন বন্ধু ছিল অন্য একটি বাইকে ৷ রাত আটটা নাগাদ বারুইপুরের শাসন এলাকার একটি ঠাকুর দেখে তারা ৷ সেখান থেকে বেরিয়ে তারা কামালগাজি বাইপাসে পৌঁছয় ৷এরপর নির্যাতিতাকে নিয়ে বেগমপুর কাটাখাল বাইপাস এলাকায় যায় প্রেমিক ও তার বন্ধুরা ৷ এখানে কোল্ড ড্রিঙ্কসের সঙ্গে উত্তেজনা বর্ধনকারী ট্যাবলেট মিশিয়ে ওই ছাত্রীকে খাওয়ানো হয় বলে অনুমান তদন্তকারীদের ৷ এরপর একটি নির্জন রাস্তায় নির্যাতিতাকে তার প্রেমিক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷ পরে সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করে প্রেমিকের দুই বন্ধুও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷ বেশি রাতের দিকে নির্যাতিতা নাবালিকাকে সীতাকুণ্ডুর কাছে তার এক আত্মীয়ের বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায় তিন জন ৷ পরপর এই ধরনের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে নির্যাতিতা ৷ আত্মীয়দের থেকে খবর পায় নির্যাতিতার পরিবার ৷ নবমীর দুপুরে নির্যাতিতাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ পরদিন অর্থাৎ ২ অক্টোবর নির্যাতিতার পরিবার বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ৷ একদিন বাদে গ্রেফতার হয় প্রেমিক ৷ তারও একদিন বাদে গ্রেফতার হয় তার বন্ধু ৷ প্রেমিক ও তার বন্ধুকে জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ এখনও অধরা আরও এক অভিযুক্ত ৷


