জেলা

গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়া হোক, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

গঙ্গাসাগরে এবার কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার গঙ্গাসাগরে হাজির হয়ে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগরে হাজির হয়ে এই মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের যে কুম্ভমেলা হয়, তার সমস্তরকম আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পায় উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ কিন্তু গঙ্গাসাগরকে একটি টাকাও অর্থ সাহায্য করে না কেন্দ্র৷ কিন্তু এটিই একমাত্র এত বড় মেলা যেখানে প্রায় ১ কোটি মানুষ জড়ো হন৷ একমাত্র মেলা যেটি বিপুল জলপথ পেরিয়ে আসতে হয়৷ এই মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত৷’’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “আমরা আসার পর গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থ কর মকুব করে দিয়েছি। মুড়িগঙ্গায় খনন করে গভীরতা বাড়ানো হয়েছে যাতে আরও বেশি লঞ্চ চলতে পারে। মেলা যখন চলবে তখন যে কোনও মানুষ যদি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তাহলে তার পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা বিমার সুবিধা দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত বুধবার হাওড়ার ডুমুরজোলা থেকে হেলিকপ্টারে করে গঙ্গাসাগরে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর কপিল মুনির আশ্রমে হাজির হয়ে পুজো দেন তিনি।  এ দিন পাঁচটি মন্দিরের প্রতিরূপ পাঁচটি মন্দির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি ভাষণে বলেন, “গঙ্গাসাগরে অনেক দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই অংশে আসেন৷ কিন্তু নানা কারণে রাজ্যের কয়েকটি মন্দিরে তীর্থ করতে যেতে পারেন না৷ সেই কারণেই গঙ্গাসাগরে পাঁচটি জনপ্রিয় মন্দিরের আদলে প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে৷ এই তালিকায় রয়েছে, তারাপীঠ, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও জহুরা কালীবাড়ির আদলে মন্দির তৈরি করা হবে৷”