পাহাড়ের রাজনীতিতে বড়সড় বদলের ইঙ্গিত দিয়েই দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। ৩ বছর অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে প্রকাশ্যে এলেন বিমল গুরুং। এদিন কলকাতার ললিত গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে রোশন গিরিকে পাশে নিয়ে বিমল জানিয়ে দিলেন তাঁরা এনডিএ তথা বিজেপির সঙ্গ ছাড়ছেন। হাত ধরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের। তবে তিনি পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি থেকে সরে আসছেন না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গেই জোট গড়ে লড়াই করবেন তাঁরা সেই ঘোষণাও এদিন করে দিলেন গুরুং। সাংবাদিক বৈঠকে গুরুং ঘোষণা করেন ” আমি এতদিন বিজেপি জোটে ছিলাম। বিজেপির এমপি জিতিয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু ওরা কথা রাখেনি। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, কথা রাখেন। আমি এই মুহূর্ত থেকে এনডিএ ছাড়লাম। যোগ দেব তৃণমূলের জোটে। মমতাকেই আবার মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই। তার জন্য সবরকম চেষ্টা করব।” মামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন,” আমি অপরাধী নই। এসব রাজনৈতিক মামলা। দেখা যাক কী হয়। তবে জেলে গেলেও মমতাকেই চাইব মুখ্যমন্ত্রীকে।” বিমল গুরুং অবশ্য গোর্খাল্যান্ড থেকে সরেননি। আবার চাপও দেননি। বলেছেন, ” বিজেপি বলেছিল করবে। করেনি। তাই ওদের সঙ্গে থাকব না। ২০২৪-এ তাদেরই সমর্থন করব, যারা গোর্খাল্যাণ্ড দেবে। কিন্তু বাংলার বিধানসভায় মমতাকেই মুখ্যমন্ত্রী চাই।” এদিন প্রথমে খবর আসে গুরুং বিধাননগরের গোর্খা ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করবেন। গুরুং আসেন। কিন্তু দরজা খোলেনি। এদিকে চাঞ্চল্য ছড়ায় ‘ফেরার’ গুরুং অবাধে ঘুরছেন কী করে। কিছুক্ষণ পর সাংবাদিক বৈঠকে নিজের অবস্থান জানান তিনি। বলেন,” আমি অপরাধী নই। দেশদ্রোহী নই। আমি একজন রাজনৈতিক নেতা।” সাংবাদিকদের পরের পর প্রশ্নবাণের জবাবে গুরুং বলেন,” আমি দিল্লিতে ছিলাম। ঝাড়খণ্ডেও ছিলাম।” গুরুংয়ের বক্তব্য, ” রাজ্য সরকারের কারুর সঙ্গে আমার এখনও কোনো কথা হয়নি।” গুরুং বলেন,” রাজনীতিতে শেষকথা বলে কিছু হয় না। বন্ধু এবং শত্রুর অবস্থান ইস্যুভিত্তিকভাবে পাল্টাতেই পারে।”