জেলা

বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত সাংসদ-বিধায়ক, থানায় অভিযোগ বিজেপির

বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ৷ সেই ঘটনায় এবার 8 জনের বিরুদ্ধে নাগরাকাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি ৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোমবার রাতে জেলাজুড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখালেন দলের কর্মী-সমর্থকরা ৷ শনিবার থেকে একটানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ ৷ তিস্ত, জলঢাকা-সহ বহু নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে জলমগ্ন জলপাইগুড়ি ৷ এই আবহে সোমবার নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়ক ৷ অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীদের হাতে গুরুতর আহত হন খগেন এবং শঙ্কর। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদকে ৷ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মাসুম আখতার, মহম্মদ মিলান, সাইবুল হক, মহম্মদ সানু, পিঙ্কি বেগম, রাহুল আনসারি, আইনুল আনসারি ও রমজান আলিদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় নাগরাকাটা বিজেপির 1নম্বর মণ্ডলের পক্ষ থেকে ৷ দলের অভিযোগ, বামনডাঙ্গা ও টুন্ডু এলাকায় সাংসদ ও বিধায়ক ত্রাণ সামগ্রি দিতে যান ৷ সেই সময়, তৃণমূলের দুস্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মারার চেস্টা করে । এদিন রাতেই নাগরাকাটা থানায় বিজেপির সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা-সহ দলের নেতারা বিক্ষোভ দেখান । মশাল মিছিলও করেন এলাকায় ৷ মনোজ বলেন, “আমরা পুলিশকে 24 ঘণ্টা সময় দিচ্ছি । তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীদের গ্রেফতার না-করা হলে জেলায় আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির যদি অবনতি হয় তার জন্য আমরা দায়ী থাকব না। আমরা কোনও রাজনীতি করতে আসিনি ৷ এই সময় বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে থাকতে এসেছি। আমরা 8 জনের নামে অভিযোগ করেছি । সবাই তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতী ।” এদিন রাতেই নাগরাকাটা থানায় বিজেপির সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা-সহ দলের নেতারা বিক্ষোভ দেখান । মশাল মিছিলও করেন এলাকায় ৷ মনোজ বলেন, “আমরা পুলিশকে 24 ঘণ্টা সময় দিচ্ছি । তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীদের গ্রেফতার না-করা হলে জেলায় আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির যদি অবনতি হয় তার জন্য আমরা দায়ী থাকব না। আমরা কোনও রাজনীতি করতে আসিনি ৷ এই সময় বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে থাকতে এসেছি। আমরা 8 জনের নামে অভিযোগ করেছি । সবাই তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতী ।” সোমবারের ঘটনায় গুরুতর আহত হন খগেন এবং শঙ্কর । নাগরাকাটা ব্লকে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ চলে । গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয় ৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গাড়িতে উঠে পড়েন বিধায়ক ও সাংসদ । কিন্তু, তারপরও গাড়িতে পাথর ছোড়া হয় ৷ পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হন সাংসদ । আহত হন বিধায়কও । তড়িঘড়ি তাঁদের চালসা মঙ্গলবাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের । ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷ এক্স হ্যাল্ডেলে পোস্ট করে সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । পাল্টা জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ এদিকে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “সাংসদ বিধায়কদের কোনও দিন দেখা যায় না ৷ এমনকী, রবিবার থেকে উদ্ধারের কাজ শুরুর পরও তাঁদের দেখা যায়নি । তাঁরা এখানে এসেছিলেন রাজনীতি করতে । মানুষ তাঁদের তাড়া করেছেন । সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু করে থাকলে সে ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই । আর মানুষ যদি কাউকে তাড়া করে তাহলেও আমাদের কিছু করার নেই ।”