যাদবপুরকাণ্ডে প্রতিবাদে এবার পথে বিজেপির যুবমোর্চা। এবিভিপির মিছিলকে কেন্দ্র করে তুলকালাম । মিছিল থেকে উঠতে থাকে একের পর এক স্লোগান। কখনও জয় শ্রীরাম ধ্বনি। কখনও মাওবাদ বিরোধী স্লোগান। কেউ স্লোগান তুললেন, ‘মাওবাদীদের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে’, কারও মুখে আবার শোনা গেল, ‘মাওবাদীদের চামড়া গুটিয়ে দেব আমরা’। নকশাল, লেনিনবাদের ‘চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারিও শোনা গেল। গোলপার্কে জমায়েত করেন যুবমোর্চার সদস্যরা। শুরু হয়ে যায় মিছিলের প্রস্তুতি। একে একে এসে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পল, ইন্দ্রনীল খাঁ। মিছিলে একবারেই সামনে সারিতে ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘এই টুকরে টুকরে গ্যাং, রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে হুঁশিয়ারি দিতে আমরা নেমেছি। এই ডান্ডা আরও মোটা হবে প্রয়োজনে। রাষ্ট্রবাদ সর্বাগ্রে থাকবে। মাওবাদ, নকশালবাদ চলবে না। পাকিস্তানের দালালি যাদবপুরে চলবে না। ত্রিগুনা সেনের যাদবপুরে রাষ্ট্রবাদই চলবে। বন্দে মাতরম চলবে, জাতীয় পতাকা উঠবে’। এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিস। পড়ুয়াদের ভিতরে ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেওয়া ৪ নম্বর গেটও! এরপর মিছিল যখন সেই ৪ নম্বর গেটে কাছে পৌঁছয়, তখন পড়ুয়াদের দিকে জুতো উঁচিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যুবমোর্চার সমর্থকরা। রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। এরপর পুলিসের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তি।