কলকাতা

সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে ধুন্ধুমার, প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি, আটক বহু

বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ।  হিংসা’ হয়েছে বলেই রবিবার দাবি করেছে বঙ্গ বিজেপি। আর তাই পুনর্নির্বাচনের আরজি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও সেই দাবি ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকে আরও জোরাল রূপ দিতে পথে নামার সিদ্ধান্ত নেয় গেরুয়া শিবির। সোমবার দুপুর তিনটে থেকে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল তারা। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ দুপুরে বিজেপির সদর দপ্তর থেকে শুরু হয় মিছিল। সেখানে ছিলেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, কল্যাণ চৌবের মতো নেতা ও বহু  কর্মী-সমর্থক। প্রথমে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এরপরই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ক্রমেই তা চরম আকার নেই। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির কর্মীরা। গার্ডরেল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার অভিযোগও তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। কলকাতা পুলিশের বিচক্ষণতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।  আজকের এই প্রতিবাদ মিছিলের এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘পুরভোটে ওঁরা রাস্তায় নামেননি। কোথাও এজেন্ট দিতে পারেনি বিজেপি। এখন সস্তার রাজনীতি করছে। হয়ত নাডডা-অমিত শাহকে সন্তুষ্ট করতে চাইছে  বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু, এখানে এসব করে মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না।’