আজ নন্দীগ্রামে জয়দেব দাস সহ ৩২ জন বিজেপি নেতা কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এর পাশাপাশি একই সঙ্গে ৫০০ বিজেপি কর্মী যোগদান করেন তৃণমূলে। সাউদখালী মানসাবাজার এসএসকে মাঠে নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির আয়োজনে বিশেষ রাজনৈতিক কর্মীসভা ‘চলো গ্রামে যাই’ অনুষ্ঠিত হল।উপস্থিত ছিলেন, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, নন্দীগ্রাম-১ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ প্রমুখ। এই কর্মীসভায় জনজোয়ার ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, জয়দেব দক্ষ সংগঠক। ও অন্য দলে রাজনীতি করেছে। ও আমাদের দলের কঠিন সময়ের সৈনিকদের সেলাম, স্যালুট, কুর্নিশ জানিয়ে দলে যোগ দিল। যে লোকটা আমাদের লোকদের মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কেউ যদি আমাদের দলে যোগ দেয়, তাহলে কেন স্বাগত জানাবেন না।আসল শত্রুর হাত দুর্বল করতে হবে। যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ করে তাকে দুর্বল করতে হবে। কুণাল বলেন, মমতাদি একজনের চোখ দিয়ে নন্দীগ্রাম দেখেছে। সে এখন নিজেকে বাঁচাতে অমিত শাহের জুতো পালিশ করছে। ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে। তাই পুরনো দিনের বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। তাকে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে দেওয়া হবে। যে বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে শুভেন্দুর বিরোধিতা করেছে। মুখোশ খুলে দিয়েছে। তাকে কতদিন ঘরে আটকে রাখবে। কে লড়েছে নন্দীগ্রাম আন্দোলন? নন্দীগ্রামের মানুষ লড়েছে।শুভেন্দু শুধু কাঁথি থেকে বিবৃতি দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় সাংসদ হয়েছে, নানান পদ, নানান দায়িত্ব। তৃণমূলের কাছ থেকে সমস্ত স্বাধীনতা ক্ষমতা পেয়েছে, আর তার অপব্যবহার করেছে। শেষে নিজেকে বাঁচাতে বিজেপিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
