আর বেশি দেরি নেই। আগামী বছর দেশের ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। যে কারণে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফের একটি তাত্পর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। গত বছর বিহার নির্বাচনে যে নিয়ম কমিশন এনেছিল, এবার আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সেই একই নিয়ম জারি করা হল। কী এই নিয়ম? যে কোনও রাজনৈতিক দলের নির্দিষ্ট ভোট প্রার্থীর অতীতে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে দলকে। শুধু তাই নয়, কেন সেই অপরাধে যুক্ত প্রার্থীকে ভোটে মনোনীত করা হল তার কারণও ব্যাখ্যা করতে হবে। এর জন্য সংবাদপত্র, টেলিভিশন বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র গোয়ায় নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে এই কথা জানান। আগামী বছর যেহেতু দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন তাই নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সব রাজ্যে গিয়ে পর্যালোচনা করছেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ছাড়াও এই মুহূর্তে দু’দিনের গোয়া সফরে রয়েছেন কমিশনার রাজীব কুমার ও অনুপ চন্দ্র। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেন, ‘প্রার্থী সম্পর্কে ভোটারদের সব তথ্য পাওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোকে সংবাদপত্র, টিভি ও ওয়েবসাইটে বলতে হবে তাঁদের প্রার্থীর কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড আছে কি না। যদি থাকে তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটারদের জানাতে হবে কেন অন্য প্রার্থীর পরিবর্তে অপরাধমূলক কাজে যুক্ত প্রার্থীকেই নির্বাচনে মনোনীত করা হচ্ছে।’ সুশীল চন্দ্র আরও জানান, নির্বাচনের আগে রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি রাখা হবে। শুধু তাই নয় লেনদেনের ক্ষেত্রে সন্দেহজনক কিছু মনে হলে সমস্ত ব্যাঙ্ক গুলিকে সঙ্গে সঙ্গে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।