দেশ

Central Intelligence Officer Manish Shot dead by Militants in Pahalgam : পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে খুন মণীশ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অফিসার মণীশ রঞ্জন

মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে একটি ছিমছাম রিসর্টের সামনে চারদিকে পাহাড় ঘেরা উপত্যকার উপরে নির্বিচারে গুলি করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে পুরুষদের। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৮ জনের। সেই তালিকার ১৩ নম্বরে রয়েছে মণীশ রঞ্জনের নাম। মণীশ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অফিসার। কাকতালীয়ভাবে তাঁর আদি বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়াতেই। ঝালদার এই যুবক বেশ কিছুদিন কর্মসূত্রে কাশ্মীরেই ছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে থাকতেন তাঁর বাবা মঙ্গলেশ রঞ্জনও। মনে করা হচ্ছে, তিনি অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে পরিবার নিয়ে পহেলগাঁওয়ে বেড়াতে যান। কাশ্মীরে যেখানে থাকতেন, সেখানেই বাবাকে রেখে যান তিনি। সূত্রের খবর, শুধু মণীশ নন, একসঙ্গে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা অফিসার সপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলেন পহেলগাঁওয়ে। সূত্রের খবর, শুধু মণীশ নন, একসঙ্গে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা অফিসার সপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলেন পহেলগাঁওয়ে। সেই তথ্য কি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল?

কর্নেল হানি বক্সী নামে কাশ্মীরের এক সেনা অফিসার টুইট করে এই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনিই ওই পোস্টে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের ওই হামলায় একজন গোয়েন্দা অফিসার মারা গিয়েছেন। আরও আটজন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা অফিসার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। হানি বক্সীর দাবি, এই গোয়েন্দা অফিসারেরা একসঙ্গে দল বেঁধে সপরিবারে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই কারণে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের এলটিসি (লিভ ট্র্যাভেল কনসেশন, যা সরকার বেড়াতে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের ভাড়া বাবদ দেয়) নিয়েছিলেন। একসঙ্গে হোটেলও বুক করেছিলেন তাঁরা। এই খবরই বাইরে বেরিয়ে যায় বা লিক করে বলে দাবি করেছেন ওই সেনা অফিসার। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। খবর বাইরে না গেলে এত নির্দিষ্ট করে ওই হোটেলে কেন আক্রমণ শানানো হবে বলেও প্রশ্ন করেছেন তিনি। যে ভাবে টার্গেট করে পুরুষদের দাঁড় করিয়ে, তাঁদের পরিচয়পত্র দেখে দেখে গুলি করে মারা হয়েছে, তাতে এই সন্দেহ অমূলক নয় বলে মনে করছেন ওই আধিকারিক।