দেশ

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে মিথ্যা প্রচার রুখতে বিশেষ দল গঠন করল মোদি সরকার

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে অনলাইনে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ থেকে শুরু করে মিথ্যা প্রচার বন্ধ করতে উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের কর্তাদের নিয়ে তৈরি হল বিশেষ দল ৷ বিভিন্ন ভারতীয় এবং বিদেশি মিডিয়া হাউজ এই ঘটনা সম্পর্কে অনলাইনে কী ধরনের খবর করছে সেটাই খতিয়ে দেখবেন এই দলের সদস্যরা। ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে কি না তাও দেখা হবে ৷ এ বিষয়ে এক আধিকারিক বলেন, “ভারত সরকার বা সেনা বাহিনীকে নিয়ে যারা নেতিবাচক প্রচারে লিপ্ত তাদের চিহ্নিত করা হবে ৷” পহেলগাঁও হামলার পর বেশ কয়েকটি বিদেশি ইউটিউব চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ভুয়ো খবর প্রচার করছে ৷ তাতে ভারতের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হচ্ছে ৷ এমন খবর পাওয়ার পরই এই বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI) পহেলগাঁও হামলার বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানোর জন্য একটি দলকে সক্রিয় করেছে। একটি গোয়েন্দা রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে, আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চিনে অবস্থিত সাইবার হ্যান্ডলাররাও আইএসআই-কে সহায্য করছে। ওই আধিকারিক আরও বলেন, “দেশের ভিতরে এমন বেশ কয়েকটি শক্তি রয়েছে যারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভারত বিরোধী পোস্ট করায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷” অসম পুলিশ জঙ্গি হামলার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে কয়েকজন মহিলার পাশাপাশি এক বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে। এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সম্প্রতি ভারতের সমস্ত খবরেরে চ্যানেলগুলিকে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির সরাসরি সম্প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য একটি পরামর্শ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সংবাদমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর তাই প্রতিরক্ষা অভিযান থেকে শুরু করে বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর চলাচল সম্পর্কিত উৎস-ভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করা থেকে বিরত থাকতে মন্ত্রক তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করলে তা শত্রুপক্ষকে অকারণে সাহায্য করতে পারে। কার্গিল যুদ্ধ, 2008 সালের মুম্বই হামলা এবং কান্দাহারে বিমান অপহরণের মতো অতীতের কিছু ঘটনার কথা তুলে ধরে মন্ত্রক জানিয়েছে, লাগাতার কভারেজ জাতীয় স্বার্থের উপর অনিচ্ছাকৃত প্রতিকূল পরিণতি ডেকে আনতে পারে।