দেশ

কাশ্মীর নিয়ে মিথ্যা দাবি করেছে কেন্দ্র, জঙ্গি হানার পর তোপ বিরোধীদের

 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জমানায় জম্মু ও কাশ্মীর ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে। উপত্যকা থেকে সন্ত্রাসবাদ মুছে ফেলতে সরকার তৎপর। ভূস্বর্গে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু, তাঁর সফরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফের রক্তাক্ত কাশ্মীরের মাটি। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন এবং ৩০ জন আহত। তারপরই মোদি সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। এই ঘটনার নিন্দা করে তাদের বক্তব্য, কেন্দ্র বারবার দাবি করছে, কাশ্মীর স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু, সেই দাবি যে কতটা অন্তঃসারশূন্য, মিথ্যা তা পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। এই প্রাণহানির দায় মোদি সরকারকেই নিতে হবে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা দেশ একজোট রয়েছে। মোদি সরকারের জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্তঃসারশূন্য দাবি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। তার বদলে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এধরনের বর্বরোচিত হামলায় সাধারণ ভারতবাসীর প্রাণ না যায়। জঙ্গি হামলা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।  এদিন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, মোদি সরকার তাদের দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না। জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকেরাও সুরক্ষিত অনুভব করে। একই সুরে পহেলগাঁওতে লস্কর হানার নিন্দা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। তাঁদের বক্তব্য,  দোষীরা যাতে কোনওভাবেই ছাড় না পায়। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সকলে একত্র হয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হবে। এদিনের জঙ্গি হানায় তামিলনাড়ুর কয়েকজন পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানান স্ট্যালিন।