কলকাতা

মণ্ডপ ফাঁকা রাখবেন না, ভলেন্টিয়ার রাখবেন, বিদেশি অতিথিদের যথাযথ আপ্যায়নের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে কলকাতা শহরের ২৫টির বেশি পূজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজো উদ্বোধনের সময় বাংলার মাটি বাংলার জল… গানটি পরিবেশন করে। সেই গানের সূত্র ধরেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি বাংলার সঙ্গীত, সুতরাং যথাসম্ভব সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভের পর এবারের দুর্গাপূজোয় প্রচুর সংখ্যক বিদেশি পর্যটক আসবেন। ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরাও বাংলার পুজো দেখতে আসবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা বিদেশিদের যথাযথ সম্মান এবং অভ্যর্থনা জানানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে। বলেছেন, বাংলার মাটি-সংস্কৃতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিদেশিদের বরণ করে নিতে। শঙ্খ ধ্বনি, উলুধ্বনি, হাত পাখা দিয়ে বরণ করতে। হাতে তুলে দিতে হবে ফুলের স্তবক। মাটির ভাঁড়ে চা, সঙ্গে নাড়ু। বিদেশিরা বাংলায় এসে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নেবেন, তা বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে পড়বে। তাঁদের আপ্যায়ন যেন ঠিকঠাকভাবে হয়। বিশ্ববাংলা বিশ্ব সেরা হবে।এদিনের পুজা উদ্বোধন পর্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মন্ত্রিসভার সহকর্মী ফিরহাদ হাকিম ববির চেতলা অগ্রণীর মাতৃমূর্তির চোখ এঁকেছেন মমতা। প্রতিবছর এই পুজোয় নিজে গিয়ে চক্ষুদান করতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পায়ে চোটের কারণে এবার যেতে পারেননি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সঙ্ঘের পুজোয় এবার থিম সং লেখা ও সুর, দুটোই করেছেন মমতা। মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন অরূপ নিজেও। দুর্গাপুজোয় উত্তর কলকাতার সঙ্গে টক্কর থাকে দক্ষিণের। আবার দক্ষিণের সেরা পুজোগুলির মধ্যে কে সবথেকে বেশি দর্শক টানবে, তা নিয়েও চলবে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এদিন পুজো উদ্বোধনের সময় খানিক রসিকতায় মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, দাদা ববি, ভাই অরূপ।