কলকাতা

পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে রোপওয়েকে সুরক্ষিত করা হবে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পর্যটক টানতে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে রোপওয়েকে সুরক্ষিত করার ঘোষণা করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান তিনি। উত্তরবঙ্গে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী যে আন্তরিক এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তা জানান মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটকদের জীবনের কথা মাথায় রেখে রোপওয়েকে আরও সুরক্ষিত করার ঘোষণা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জয়ন্তীতে নতুন কটেজ বানিয়েছি। মাল থেকে নতুন রাস্তা করেছি। রোপওয়ে সুরক্ষিত করব। জীবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ এদিন বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক প্রশ্ন করেন হুগলি জেলার পর্যটন শিল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়ে। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পর্যটন নিয়ে অনেক কাজ করছি।’ হুগলির গোঘাট বিধানসভার ওই বিধায়কের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘হুগলিতে সবুজ দ্বীপ করেছি, রিসর্ট হয়েছে। ব্যান্ডেল চার্চ, চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো, শ্রীরামপুর মাহেশের রথ, তারকেশ্বর সব জায়গায় কাজ করেছি। হুগলি জেলায় সব আছে।’ পাশাপাশি, জয়রামবাটি-কামারপুকুরের পর্যটনের উন্নয়নের জন্য নতুন হাইওয়ে তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাজ্য সরকার পর্যটনশিল্পের মানোন্নয়ন ঘটাতে কী কী করেছে এদিন তা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, বাংলায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে হোম স্টের-ব্যবস্থা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এদিন বিধানসভায় পর্যটন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব কি আমরা করব। তাহলে স্থানীয়রা কী করবে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ কানেক্টর তৈরি হয়েছে। তার জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মাহেশের রথ, ফুরফুরা শরিফ, তারকেশ্বর সব করে দিয়েছি। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখন সাংসদরা বাড়ির কাছে রেল স্টেশনের দাবি করতেন। তিনি বলেন, বাকি আর কী আছে। চাওয়ার শেষ নেই। আসলে আমাদের মন ভালো নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১১ বছর আগে উত্তরবঙ্গ কী ছিল। এখন সচিবালয় হয়েছে। প্রায় ৩৫ টি কটেজ হয়েছে। হেলিপ্যাড হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। অন্যদিকে মামলা মোকদ্দমার জন্য অনেক সরকারি কাজ আটকে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যখনই লোক নিতে চাই, আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসা হচ্ছে। তাঁর আরও আক্ষেপ, যখনই যা করতে চাই, তখনই মামলা হয়ে যাচ্ছে। আদালতে লড়তে লড়তেই তো সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিধানসভার মাধ্যমে সকলকে আবেদন করব, বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে।