জেলা

‘কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তুঘলকি শাসন চালাচ্ছে, ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না’, কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রিয়াংকা সেনগুপ্তঃ এসসি মামলায় সিবিআই তৎপরতার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিজেপির বিরুদ্ধে এজেন্সিকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর অভিযোগ, বিজেপি দেশজুড়ে তুঘলকী শাসন চালাচ্ছে । কারও বাঁচার অধিকার নেই । স্বাধীনতার অধিকার নেই । যেহেতু আমাকে হারাতে পারিনি তাই এরাক্ষম করছে। তাঁর অভিমত, রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে পেরে উঠছে না বিজেপি। একের পর এক ভোটে বাংলার বুকে হেরেই চলেছে গেরুয়া ব্রিগেড। আর তাই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। যদিও সে সব করে যে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না সেটা পরিষ্কার জানিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সব অধিকার খর্ব করে দিয়েছে। যত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সেখানে বিজেপির লোক ছাড়া আর কাউকে খুঁজে পাবেন না। কিন্তু গায়ের জোরে জুলুম করে বিজেপি যদি মনে করে তৃণমূলকে স্তব্দ করবে, তবে সে গুড়ে বালি। কারণ, তৃণমূল জব্দ করে, স্তব্ধ হয় না। এখানে হেরে গিয়ে ভয় পাচ্ছে। ২০২৪ এ লোকসভা জিততে হবে না? তাই এখন থেকে মিথ্যে কথা বলছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে মিথ্যা বদনাম দিচ্ছে। শুধু বাংলায় নয়, কেন্দ্র গোটা দেশে তুঘলকি চালাচ্ছে। আগে তোমাদের রাজ্যগুলি দেখ। সেখানে তো ভয়ে কেউ থানায় অভিযোগ জানাতেই পারে না।’ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এসএসসি দফতর পাহাড়া দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে, মেয়ের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তলব পেয়েও যাননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। তিনি কোথায় কেউ তা খোলসা করেননি। এসব নিয়ে রাজ্যকে নিশানা করছে বিরোধী দলগুলো। হইচই তুঙ্গে। এসবের মধ্যেই নিয়োগ নিয়ে সিপিএমকে কড়া আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ঝাড়গ্রামে কর্মীসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, ‘আগে তো একটা চিরকুট দিয়ে চাকরি দিত, একটা চিরকুট দিয়ে ট্রান্সফার করে দিত। চৌত্রিশ বছর ধরে কী করেছে সিপিএম? আমিও সব খোঁজ নিচ্ছি। আস্তে আস্তে চ্যাপ্টার ওপেন করছি। আগে ভদ্রতা করেছি, তা যদি কেউ দুর্বলতা মনে করেন, তা হলে ভুল করবেন।’ তবে, এ দিন একবারও এসএসসি-র নাম মুখে নেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রী নিশানা থেকে ছাড় পায়নি বিজেপিও। তিনি বলেন, ‘বিজেপি ভেবেছে কী! কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চালিয়ে যাবে। এ দেশে এখন কারও বাঁচার অধিকার নেই, কারও স্বাধীনতা নেই, সব নষ্ট করে দিয়েছে। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটা একটা করে ধ্বংস করে দিচ্ছে! ওরা ভাবছে গায়ের জোরে তৃণমূলকে স্তব্ধ করে দেবে। কিন্তু তৃণমূল জব্দ করে, তৃণমূলকে স্তব্ধ করা যায় না।’