উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো গত তিনবছরে ২৭ পাট্টা বিলি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ২৬১উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দেওয়া হল। মোট ৫২ হাজার মানুষ এই ফলে উপকৃত হয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এই নিয়ে বলেন, ঠিকানা হল মানুষের সবচেয়ে বড় আশ্রয়। জমির পাট্টার পাশাপাশি রাজ্য সরকারি প্রকল্পে বাড়িও পাবেন বাংলার মানুষ। যারা বাড়ি তৈরী করতে পারবেন না, তাদের সাহায্য করবে সরকার। মতুয়ারাও জমির পাট্টা পাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বনহুগলি, আলিপুরদুয়ার-সহ বিভিন্ন জায়গায় উদ্বাস্তু কলোনি হয়েছে বলে
জানান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দেশের মধ্যে প্রথম বাংলা। চা-বাগানের শ্রমিকদের জন্য হচ্ছে ‘আমার বাড়ি’। মেদিনীপুর এলাকায় খাসমহলে পাঁচটি মৌজায় জমির সেটেলমেন্ট করা হয়েছে। ফলে জমির অধিকার দেওয়া হয়েছে আরও ১২ হাজার পরিবারকে। যত কলোনি আছে প্রত্যেকটি আইনত স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাট্টাও সময়ে সময়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। মমতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উদ্বাস্তুদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন তিনি। যখন সাংসদ ছিলেন তখন এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন সংসদে। তার জেরেই আইন সংশোধন করা হয়েছে।