কলকাতা

মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে খোঁজ নিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গত 10 ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এ বছরের মাধ্যমিক । প্রতিবারই একটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবারেও সেই মতো মঙ্গলবার তিনি গিয়েছিলেন ভবানীপুরের ইউনাইটেড মিশন স্কুলে । ওই স্কুলে পাঁচটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে । সেখানে গিয়ে অভিভাবকদের থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চান তিনি । কেমন চলছে মাধ্য়মিক পরীক্ষা খোঁজ নিতে স্কুলে হাজির হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাসভবন থেকে বেরিয়ে বিধানসভার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন ৷ পথে ভবানীপুরের একটি স্কুলে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি । ভবানীপুর ইউনাইটেড মিশন স্কুলে তখন চলছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা । সেখানে গিয়ে স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । শিক্ষক শিক্ষিকারা মুখ্যমন্ত্রীকে স্কুলের ভেতরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান ৷ তবে তিনি স্কুলের ভিতরে যেতে রাজি হননি ৷ মমতা বলেন, “পরীক্ষা চলছে, এখন ভেতরে যাব না ৷” স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে সকল পরীক্ষার্থীদের আবারও শুভেচ্ছা বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী । আজ মাধ্যমিকের ভূগোল পরীক্ষা ছিল । জিজ্ঞেস করেন, “কেমন প্রশ্নপত্র হচ্ছে ? পরীক্ষা কবে শেষ হবে ?” অভিভাবকরা জবাবে জানান বৃহস্পতিবার ৷ মমতা তখন মজার ছলে বলেন, “বাঁচা যাবে ৷ এটা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা ৷” পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না সেই বিষয়ে অভিভাবকদের থেকে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বলেন, “আগে পরীক্ষায় নম্বর দেওয়া হত না । এখন সিলেবাস অনেক সোজা করে দেওয়া হয়েছে । সিবিএসই আইসিএসই বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে । যাতে ভবিষ্যতে সমস্যা না হয় । আমি সবসময় বলি, প্রশ্নপত্র যেন শক্ত না হয় । সবাই ভালো ফল করুক আমি সেটাই চাই ৷ পরীক্ষা ভালো হবে, আমার শুভেচ্ছা রইল ।” ভবানীপুর ইউনাইটেড মিশন স্কুলের বিষয়েও একাধিক খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী । স্কুলের বাইরে থেকেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । এমনকি স্কুলের 192তম বছরে রং করানোর নির্দেশও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই কাজের জন্য কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে সে কথাও স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেখানে দাঁড়িয়েই বলে আসেন তিনি । স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে শিক্ষিকাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই স্কুলে আমার ভাইঝি পড়ত । আপনারা সবাই ভালো থাকবেন । আজকে মঙ্গলবার, পরের মঙ্গলবারের মধ্যে আমার লোক এসে আপনাদের থেকে কোথায় কী রং করতে হবে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে যাবেন । আপনারা এক সপ্তাহের মধ্যে সেই খসড়া তৈরি করে রাখুন ।”