ক্রাইম দেশ

Coimbatore Gang Rape: বিমানবন্দরের কাছেই বন্ধুর চোখের সামনে গাড়ি থেকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ

বন্ধুর চোখের সামনেই গাড়ি থেকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ ! রবিবার রাতে পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটে দেশের এক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকায় ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হওয়ার পর সোমবার পুলিশ এনকাউন্টারে আহত হয় 3 অভিযুক্ত ৷ তদন্ত চলছে ৷ ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ৷ এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি লেখেন, “কোয়েম্বাটুরের অমানবিক ঘটনার নিন্দায় ব্য়বহৃত কোনও ভাষাই যথেষ্ট নয় ৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এক মাসের মধ্যে ঘটনায় চার্জশিট জমা দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে, তাদের যাতে দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রগতি হচ্ছে ৷ কিন্তু এই ধরনের বিকৃত পৈশাচিক ঘটনা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে ৷ জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে 10টা নাগাদ তামিলনাড়ুর পিলামেদুতে কোয়েম্বাটুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী এলাকায় গাড়ির মধ্যে বন্ধুর সঙ্গে বসে ছিলেন কলেজ পড়ুয়া তরুণী ৷ সেই সময় আচমকাই 3 ব্যক্তি বাইকে করে এসে তাঁদের গাড়ি থেকে নামতে বলে ৷ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দুই তরফের মধ্যে বচসা শুরু হয় ৷ এরই মধ্যে লোহার রড ও হাসোয়া দিয়ে গাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে দেয় 3 অভিযুক্ত ৷ নির্যাতিতার বন্ধু দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে হাসোয়া দিয়ে তাঁর হাতে এবং মাথায় আঘাত করে দুষ্কৃতীরা ৷ গভীর যন্ত্রণায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তরুণ ৷ জ্ঞান হারান তিনি ৷ এরপর ওই তরুণীকে গাড়ি থেকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে 3 অভিযুক্ত বলে অভিযোগ ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত 2টো নাগাদ আহত তরুণের জ্ঞান ফেরার পর তিনি পুলিশে খবর দেন ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ এরপর নির্যাতিত তরুণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷ এদিকে ঘটনাটি সামনে আসতেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয় ৷ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে ৷

এই আবহে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও ঘটনার তদন্তের জন্য 7 সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠন করে পিলামেদু পুলিশ ৷ ঘটনাস্থলে কোনও সিসিটিভি না-থাকায় আশপাশের এলাকার ক্যামেরার ফুটেজ থেকে 3 অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ ৷ এদিকে তদন্ত শুরু হতেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কোয়েম্বাটুরের থুড়িয়ালুর এলাকার একটি মন্দিরে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা ৷ তাদের গ্রেফতারের জন্য এক কনস্টেবল মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করলে তাঁকে হাসোয়া দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্তরা ৷ এরপরই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান পুলিশ আধিকারিকরা ৷ পুলিশ জানিয়েছে, গুলিতে আহত হয়ে কড়া নিরাপত্তায় কোয়েম্বাটুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে 3 অভিযুক্ত ঘুনা ওরফে থাবাসি, সতীশ ওরফে কুরুপ্পাস্বামী এবং কার্তিক ওরফে কল্লিস্বারণ ৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, 3 জনই শিবগঙ্গা জেলায় ইরুকুরের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে ৷ সেখানে একটি নির্মিয়মাণ সংস্থার অধীনে কাজ করে তারা ৷