কলকাতা

কৌস্তভকে বাগচীকে ‘সেন্সর’ করল কংগ্রেসের হাইকমান্ড, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমানের জেরে শাস্তি

কৌস্তভ বাগচী গত দু-তিনদিনের ঘটনাক্রমে মিডিয়ায় যতই শিরোনামে আসুন না কেন, দিল্লির কংগ্রেস হাইকমান্ড তাঁর উপর চরম অসন্তুষ্ট হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই রকম ব্যক্তিগত স্তরে কুৎসিত আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না বলে দিল্লি স্পষ্টভাবে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্তদের বলে দিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কাছেও বার্তা যাচ্ছে। এর আগে হাই কোর্ট চত্বরে এআইসিসি নেতা পি চিদম্বরমের সঙ্গে দলের শৃঙ্খলা ভেঙে অসৌজন্যমূলক ব্যবহারের পরেও কৌস্তভকে সতর্ক করা হয়েছিল। এবার দিল্লি আরও কড়া। রাজ্য কংগ্রেসের একাধিক মহল থেকেও দিল্লির কাছে কৌস্তভের বিরুদ্ধে অপরিণত উগ্র ব্যক্তিকেন্দ্রিক আচরণের অভিযোগ গিয়েছে। দিল্লি সূত্রের খবর, কৌস্তভ নিজেকে সংশোধন না করলে তাঁকে মুখপাত্র-সহ সব পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেবে দল। সূত্রে খবর, গোটা ঘটনা দিল্লি শুনেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত কুৎসার টার্গেট করা হয়েছে শুনে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী বিরক্ত। তাঁরা কৌস্তভকে চেনেন না। বিষয়টা শুনেছেন। দিল্লির কড়া বার্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু, দুর্নীতি, সন্ত্রাস নিয়ে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা হোক। আদালতেও আইনি লড়াই হতে পারে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তি আক্রমণ কখনও নয়। এই কারণে অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্যরা কেউই কৌস্তভের বক্তব্যের পাশে দাঁড়াননি। শুধু পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করায় গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করা হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। বাংলার একাধিক কংগ্রেস নেতাও কৌস্তভের উপর ক্ষুব্ধ। এঁদের বক্তব্য, অকারণ আমিত্ব আর উগ্রতা দেখাতে গিয়ে মাত্রাছাড়া বাড়াবাড়ি করেছেন কৌস্তভ, বিশেষ করে নেড়া হওয়াটা হাস্যকর পর্যায়ে চলে গিয়েছে।