কলকাতা

সাগরদিঘিতে হার, সাংগঠনিক বৈঠকে তৃণমূলের ২ সাংসদকে তিরস্কার মমতার

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হেরে যাওয়ায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র তিরস্কারের মুখে পড়লেন তৃণমূলের দু্ই সাংসদ খলিলুর রহমান ও আবু তাহের খান। আজ শুক্রবার সাংগঠনিক বৈঠকের সময়েই সাগরদিঘি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ের প্রসঙ্গ ওঠে। সূত্রের খবর, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদের দলীয় সাংসদ খলিলুর রহমান ও আবু তাহের খানের উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমো ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘জেতা আসন হাতছাড়া হলো কীভাবে? আপনারা দুজনেই অধীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন’। সাগরদিঘি আসন হাতছাড়া হওয়ার পিছনে প্রার্থী বাছাইও বড় কারণ বলে ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে। গত বিধানসভা ভোটে তিনি জিতেছিলেন সেই প্রয়াত সুব্রত সাহার পরিবারের কাউকে প্রার্থী করা হলে আসনটি হাতছাড়া হতো না বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এদিনের বৈঠকে মমতা বলেন, ‘সুব্রত সাহার ছেলেকেই টিকিট দিতাম। কিন্তু ওর বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ রয়েছে। তাই টিকিট দেওয়া হয়নি।’ সাগরদিঘির মতো সংখ্যালঘু প্রভাবিত আসনে হেরে যাওয়ায় কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সংখ্যালঘু ভোটাররা বিরূপ হলে পঞ্চায়েত ভোটে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে নতুন করে ঝাঁপিয়েছে। এদিনের বৈঠকে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি হাজি নুরুল ইসলামকে সরিয়ে মোশারফ হোসেনকে নিয়ে আসা হয়েছে। হাজি নুরুলকে অবশ্য সংগঠনের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে।